রায়হান আহমেদ
রায়হান আহমেদ একজন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্মী। ১০ অক্টোবর ২০২০ রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাসা থেকে বাইরে বের হয়েছিলেন রায়হান। এরপর আর বাড়ি ফেরেন নি।
রায়হান আহমেদ সম্পর্কে
৩৫ বছর বয়সী রায়হান আহমেদ সিলেট নগরের রিকাবীবাজার এলাকায় একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কাজ করতেন। ১০ অক্টোবর ২০২০, ঘটনার দিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাসা থেকে বাইরে বের হয়েছিলেন রায়হান। এরপর আর বাড়ি ফেরেন নি।
মৃত্যুর আগে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন দিয়ে টাকা নিয়ে ফাঁড়িতে আসতে বলেছিলেন রায়হানকে। এরপর ১১ অক্টোবর ২০২০ ভোরে নগরীর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে পুলিশের নির্যাতনের শিকার হন রায়হান আহমদ। পরে রোববার সকালে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে তিনি মারা যান।
পুলিশের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হলে রায়হানকে ফাঁড়িতে এনে নির্যাতনের প্রাথমিক প্রমাণ পায় কমিটি।
এই হত্যাকাণ্ডে বন্দর বাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবরসহ পাঁচজনকে সাময়িক বরখাস্ত এবং তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়। ৯ নভেম্বর ২০২০, দুপুরে কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকে মামলার প্রধান আসামি এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
জেনে রাখুন
- ১১ অক্টোবর, রোববার ভোররাত সাড়ে চারটার দিকে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে তাঁর বাবা রফিকুল ইসলামকে ফোন দিয়ে টাকা নিয়ে বন্দরবাজার ফাঁড়িতে আসতে বলেছিলেন রায়হান।
- নির্যাতনের পর ওসমানী হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান রায়হান আহমেদ।
- ঐ দিনই ময়না তদন্ত শেষে তার লাশ দাফন করা হয়। কিন্তু পরে আবার রায়হানের লাশ কবর থেকে তুলে দ্বিতীয়বার তার ময়না তদন্ত হয়।
- পায়ে ছুরিকাঘাত, পায়ের নখ উলটে আরও নানান প্রকারে পুলিশ ফাঁড়িয়ে রায়হানকে নির্যাতন করা হয়।
- ১০ হাজার টাকার দাবিতে রায়হানের উপর চালিয়েছিলো পুলিশের এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া।
টাইমলাইন
গণমাধ্যমে রায়হান আহমেদ হত্যাকাণ্ড
পুলিশি নির্যাতনে রায়হান আহমেদ হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের সংকলন।
রায়হান হত্যা: পিবিআই হেফাজতে সুইপার বিল্লু
সিলেট: রায়হান হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনে বিল্লু দাস নামের এক সুইপারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে নগরের কাস্টঘর এলাকার সুইপার কলোনি থেকে
এসআই আকবর কোথায়?
সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে রায়হান উদ্দিনের মৃত্যুর ৬ দিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পরেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। রায়হান হত্যার ঘটনার অগ্রভাগে থাকা বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির
যেতে চেয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে, পুলিশ পাঠিয়ে দিলো পরপারে
রায়হানের মা বলেন, ছেলে-মেয়েকে নিয়ে অনেক কষ্ট করেছি। আমার সব স্বপ্ন ভেঙে দিয়েছে এসআই আকবর ও তার সহযোগীরা যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন সিলেটে পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে নিহত রায়হান আহমদ
পুলিশ হেফাজতে রায়হান হত্যার বিচারের দাবিতে উত্তাল সিলেট
বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে ‘পুলিশী নির্যাতন’-এ যুবক রায়হান হত্যা ঘটনার মূলক নায়ক এসআই আকবর হোসেন এখন কোথায় ?-এই প্রশ্ন এখন সিলেটের ঘরে ঘরে। সিলেটবাসী বলেছেন রায়হান হত্যা ঘটনার পাঁচদিন অতিবাহিত হলেও
উত্তাল সিলেট, পুলিশকে ধাওয়া করলো জনতা
‘পুলিশি নির্যাতনে’ যুবক রায়হান মৃত্যুর ৫ দিনেও উত্তাল ছিল সিলেট। একই দিন রাস্তা থেকে জনতাকে সরিয়ে দিতে গেলে উল্টো পুলিশকে ধাওয়া করে বিক্ষুব্ধ জনতা। বৃহস্পতিবার বিকালে রায়হানের বাসার কাছে নেহারীপাড়ায়
এসআই আকবরকে ধরতে ইমিগ্রেশনে চিঠি
সিলেটের বন্দর বাজার ফাঁড়ির ইনর্চাজ (সাময়িক বরখাস্ত) এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আকবর যাতে দেশ ত্যাগ না করতে পারেন সেজন্য ইমিগ্রেশনে চিঠি দিয়েছে পিবিআই। সূত্র
কবর থেকে রায়হানের লাশ তুলেছে পিবিআই
সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে রায়হান উদ্দিনের মৃত্যুর ঘটনায় ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তার লাশ কবর থেকে তুলে পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর)
রায়হানের দ্বিতীয় ময়নাতদন্তে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন
সিলেটে পুলিশের হেফাজতে নিহত রায়হান উদ্দিনের মৃতদেহ পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য তিন সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও ফরেনসিক বিভাগের
স্পন্সরশিপ পেয়েছিলেন রায়হান, নভেম্বরেই দাঁড়ানোর কথা ছিল ভিসার জন্য
আমেরিকা যাওয়ার বন্দোবস্ত চলছিল রায়হানের। মা নিজে উদ্যোগী হয়ে সেখানে বসবাস করা তার এক চাচার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন। চাচা পাঠালেন স্পন্সরশিপ। এরপর প্রযোজ্য অন্যান্য কাগজপত্র তৈরি করে দূতাবাসে দাঁড়াবার আগেই
হেফাজতে নির্যাতন: সে রাতে কেন আটক হয়েছিলেন রায়হান?
বাংলাদেশের সিলেট শহরের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসকের অ্যাটেনড্যান্ট হিসেবে কাজ করতেন ৩৪-বছর বয়সী রায়হান আহমেদ। শহরের যে এলাকায় তিনি বসবাস করতেন সেই আখালিয়া নেহারিপাড়ার কবরস্থানে বৃহস্পতিবার ছিল স্থানীয়দের উপচে পড়া
আরো পোস্ট আছে...
শেষ!
আর নেই!