আবরার ফাহাদ
আবরার ফাহাদ ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) -এর তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাথে তার জড়িত থাকা নিয়ে সন্দেহ করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা তাকে পিটিয়ে হত্যা করে।
আবরার ফাহাদ সম্পর্কে
আবরার থাকতেন বুয়েটের শেরেবাংলা হলে ১০১১ নম্বর কক্ষে। এটি হলের নিচতলায় অবস্থিত। একই কক্ষে থাকতেন ১৬ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান। মিজানুর বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান ওরফে রবিনকে বলেন, ‘আবরারকে তাঁর শিবির বলে সন্দেহ হয়।’
মিজানুরের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মেহেদি হাসান ওরফে রবিন এই বিষয়টি শেরেবাংলা হল ছাত্রলীগের নিজস্ব ফেসবুক মেসেঞ্জারে জানান। ৪ অক্টোবর শেরেবাংলা হলের ক্যানটিনে মেহেদি হাসান ওরফে রবিন এবং ইশতিয়াক আহমেদ ওরফে মুন্নার নেতৃত্বে অমিত সাহা, ইফতি মোশাররফ সকাল, আকাশ হোসেন, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান মনির, মিফতাহুল ইসলাম জীয়নসহ অন্য আসামিরা মিটিং করেন। এ সময় আবরার তাঁর কক্ষে আছেন কিনা তা জানতে একাধিক সহযোগীকে পাঠিয়ে খোঁজ নেন। কিন্তু আবরার সেদিন তার কক্ষে ছিলেন না। ছিলেন কুষ্টিয়ায়, নিজ বাড়িতে। পরদিন ৫ অক্টোবর মনিরুজ্জামান মনিরের নেতৃত্বে আসামি হোসেন মোহাম্মাদ তোহা, আকাশ হোসেন, মাজেদুর রহমান মাজেদ, মোয়াজ আবু হুরায়রা সহ সকলেই গেস্টরুমে একত্রিত হয়ে মিটিং করেন। সেই মিটিংয়ে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করার সিদ্ধান্ত হয়।
জেনে রাখুন
- ৯ বছরে তদন্তকারীরা অন্তত ৭৮ বারের মতো সময় চেয়েছেন।
- এখন পর্যন্ত ঐ হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদনই জমা দেয়নি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
- সাগর রুনিকে হত্যার পর দু’টি মোবাইল ফোন এবং দু’টি ল্যাপটপ খোয়া গেছে, যেগুলো পরে আর পাওয়া যায়নি
- এখন পর্যন্ত এই মামলায় ১৬০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
- সেসময় এই ঘটনা নিয়ে সাংবাদিক সংগঠনগুলো ব্যাপক আন্দোলন করলেও কিছুদিনের মধ্যেই তা থেমে হয়ে যায়।
- বিভিন্ন সংগঠনের নেতাদের মতে, সাংবাদিকদের নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণেই গুরুত্বপূর্ণ এই ইস্যু নিয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর কার্যকরভাবে চাপ প্রয়োগ করা সম্ভব হয়নি।
টাইমলাইন
গণমাধ্যমে আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ড
দেশের শীর্ষস্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংঠনের নেতাকর্মীদের নির্যাতনের ফলে সংঘটিত নির্মম এই হত্যাকাণ্ডের সংবাদ সংকলন।
আবরারের মামাসহ ২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় তার মামা আব্দুল কাদেরসহ দুই জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত। অপর সাক্ষী পুলিশের এসআই রকিবুল হাসান। রবিবার ( ২৯ নভেম্বর ) ঢাকার
আরও ২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় আরও দুই জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত। তারা হলেন— বুয়েটের কর্মচারী কামরুল হাসান ও সিকিউরিটি গার্ড মো. মোস্তফা। বৃহস্পতিবার ( ২৬ নভেম্বর
আবরার হত্যা মামলায় সহপাঠীর সাক্ষ্য
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ রাব্বী হত্যায় তার সহপাঠী মো. সাইফুল ইসলাম আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে বৃহস্পতিবার তিনি
বুয়েটের আরও এক শিক্ষার্থীর সাক্ষ্যগ্রহণ
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের ১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. সাইফুল ইসলামের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর ) ঢাকার
আবরার হত্যা মামলা: বুয়েটের দুই শিক্ষার্থীর সাক্ষ্যগ্রহণ
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় দুই শিক্ষার্থীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত। তারা হলেন, মুহতাদি আহনাফ আনসারী ও মোহাম্মদ গালিব। রবিবার (৮ নভেম্বর) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর
আবরার হত্যা মামলায় বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালকের সাক্ষ্যগ্রহণ
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ড. মো. মিজানুর রহমানের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত। বুধবার (২৮ অক্টোবর) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর
আরো পোষ্ট আছে...
শেষ!
আর নেই!
সেন্সরশিপের খড়গ
স্বাধীন বাংলাদেশে চলচ্চিত্র, টিভি নাটক, মঞ্চ নাটকের উপর বিভিন্ন সময় সরকারি ও বেসরকারি সেন্সরশিপের তথ্য উপাত্ত দেখতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন।
লেখার জন্য কারাবন্দী
বিচারহীনতার বাংলাদেশ
বিচার হচ্ছে না নিকট অতীতের কয়েকশ চাঞ্চল্যকর মামলার। যেসব মামলার সম্ভাব্য আসামী প্রভাবশালী রাজনীতিক অথবা ব্যবসায়ী অথবা ক্ষমতার কাছাকাছি থাকা কেউ।