২০১৩ সালের ৬ মার্চ বিকালে ত্বকীকে তুলে নিয়ে যায় র্দুবৃত্তরা। দু’দিন পর কুমুদিনী খালে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ত্বকীর বাবা রাফিউর রাব্বি এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করে। পুলিশের মামলা তদন্ত নিয়ে বাদী সন্তুষ্ট না হওয়ার কারণে পুলিশের মামলার বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে মামলাটি তদন্ত ভার পায় র্যাব। অথচ আজও মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দিতে পারেনি র্যাব।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী অভিযোগ করেন, র্যাব ২০১৪ সালের শেষের দিকে এসে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছে অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করবে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছিল। এই কথা বলার পর প্রায় ৮ বছর পেরিয়ে গেলে কেন র্যাব আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করছেনা তা আমার বোধগম্য নয়।
ত্বকীর বাবা আরও জানান, কারা কবে কীভাবে ত্বকীকে হত্যা করেছে, কোথায় নিয়ে নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়েছে সবই র্যাব কাছে স্বীকার করেছে আসামিরা। কিন্তু তারপরও অভিযোগপত্র দেওয়া কেন হচ্ছে না। শুধু আসামিরা সরকারি দলের লোক হওয়ার কারণে বিচারকার্য আটকে আছে। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিলেই ত্বকী হত্যার বিচার হবে।
৫ মার্চ ২০২১ শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ নগরের ডিআইটি বাণিজ্যিক এলাকায় চুনকা নগর পাঠাগার মিলনায়তনের সামনে বঙ্গবন্ধু সড়কে তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যা ও বিচারহীনতার আট বছর উপলক্ষে সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চ আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্যকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ত্বকী হত্যা মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী প্রদীপ ঘোষ বাবু জানান, ত্বকী হত্যায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেওয়া আসামি সুলতান শওকত উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে ২০১৪ সালে বিদেশে পালিয়ে যান।