হুমায়ুন আজাদের ‘নারী’ নিষিদ্ধ

নারী গ্রন্থটি সর্বপ্রথম ১৯৯২ সালে ঢাকার একুশে বইমেলাতে প্রকাশ করে নদী প্রকাশনী এবং পরবর্তীতে আগামী প্রকাশনী প্রকাশ করতে থাকে। বাংলা ভাষায় নারীবাদের সূচনা হয় বেগম রোকেয়ার হাতে যদিও সেটি ছিলো অবিভক্ত ভারতীয় বঙ্গে, আর হুমায়ুন আজাদের লেখা এই বইটিই হচ্ছে স্বাধীন বাংলাদেশে নারীবাদ বিষয়ক প্রথম বই।

১৯৯৫ সালের ১৯ নভেম্বর বাংলাদেশ সরকারের এক আদেশপত্রের মাধ্যমে হুমায়ুন আজাদের নারী গ্রন্থটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। নারী গ্রন্থের নিষিদ্ধকরণের আদেশপত্রে বলা হয়, ‘পুস্তকটিতে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতি তথা মৌলিক বিশ্বাসের পরিপন্থী আপত্তিকর বক্তব্য প্রকাশিত হওয়ায় সরকার কর্তৃ ফৌজদারি কার্য বিধির ৯৯ (ক) ধারার ক্ষমতাবলে বর্ণিত পুস্তকটি বাজেয়াপ্ত হইল।’

গ্রন্থটি নিষিদ্ধ ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় হুমায়ুন আজাদ বলেছিলেনঃ

‘কোনো গ্রন্থকেই নিষিদ্ধ করা যায় না।’

 

তাঁর কথাই সত্য প্রমানিত হয়েছিল নারী বইটিকে বেশি দিন নিষিদ্ধ করে যায় নি,  ২০০০ খ্রিস্টাব্দের ৭ মার্চ বাংলাদেশের উচ্চ বিচারালয় ওই আদেশ অবৈধ ঘোষণা করলে পরের মাসেই বইটির তৃতীয় সংস্করণ দ্বিতীয় মুদ্রণ বেরোয়।

সেন্সরশিপের খড়গ

স্বাধীন বাংলাদেশে চলচ্চিত্র, টিভি নাটক, মঞ্চ নাটকের উপর বিভিন্ন সময় সরকারি ও বেসরকারি সেন্সরশিপের তথ্য উপাত্ত দেখতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন।

বিস্তারিত

লেখার জন্য কারাবন্দী

ফেসবুকে লেখালেখির জন্য জেলে আছেন প্রচুর মানুষ। বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আজীবনের জন্য পঙ্গু হয়েছেন, আছেন এমন মানুষও। তাদের সম্পর্কে জানুন।
বিস্তারিত

বিচারহীনতার বাংলাদেশ

বিচার হচ্ছে না নিকট অতীতের কয়েকশ চাঞ্চল্যকর মামলার। যেসব মামলার সম্ভাব্য আসামী প্রভাবশালী রাজনীতিক অথবা ব্যবসায়ী অথবা ক্ষমতার কাছাকাছি থাকা কেউ।

বিস্তারিত

এখন কী অবস্থায় আছে?

ধর্মানুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে ডজনখানেক গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছিলো। সেসব গ্রাম, গ্রামের মানুষেরা এখন কেমন আছেন?
বিস্তারিত