‘হক কথা’র ডিক্লারেশন বাতিল

২৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২ সৈয়দ ইরফানুল বারীর সম্পাদনায় টাঙ্গাইল থেকে ‘হক কথা’ নামে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়। এটির প্রকাশক ও পৃষ্ঠপোষক ছিলেন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। হক কথায় সাপ্তাহিক খবর ছাড়াও গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, ব্যঙ্গাত্মক রচনা ইত্যাদি প্রকাশিত হত। এছাড়াও, নিয়মিত বিভাগে, মুরিদের দরবার, ইহা কি সত্য, পাঠকের অভিমত, এমসিএ-দের কান্ড, এসব বিষয় থাকত। ১৯৭২-এর ২৩ জুন সরকার হক কথার সম্পাদক ইরফানুল বারীকে ‘৭২-এর দালাল আইনে গ্রেফতার করে। পরবর্তী সংখ্যা থেকে মওলানা ভাসানী ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৭২-এর ১৩ সেপ্টেম্বর হক কথা, মুখপত্র, স্পোকসম্যান, লাল পতাকা ও বাংলার মুখ, এই পাঁচটি পত্রিকা কেন নিষিদ্ধ করা হবে না ১০ দিনের মধ্যে তার কারণ দর্শানোর জন্য সরকার নোটিশ দেয়। কাল্পনিক, বিদ্বেষমূলক, মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যমূলক সংবাদ পরিবেশনের অভিযোগে এই নোটিশ দেয়া হয়।।

২২ সেপ্টেম্বর ১৯৭২ প্রেস এন্ড পাবলিকেশন অর্ডিন্যান্স (পিপিও)-এর ২৬ ধারা বলে সরকার হক কথার ডিক্লারেশন বাতিল ঘোষণা করে এবং হককথার ছাপাখানা শান্তি প্রেসকেও পিপিও-এর ২৩ (ক) ধারাবলে পুনরায় আদেশ না দেয়া পর্যন্ত বই ও সংবাদপত্র না ছাপার নির্দেশ দেয়। সেই সঙ্গে সরকার বাংলা সাপ্তাহিক মুখপত্র ও ইংরেজি সাপ্তাহিক স্পোকসম্যান পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল করে এবং ওই সব প্রেসগুলোকেও পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত বই বা সংবাদপত্র প্রকাশ না করার নির্দেশ দেয়।

সেন্সরশিপের খড়গ

স্বাধীন বাংলাদেশে চলচ্চিত্র, টিভি নাটক, মঞ্চ নাটকের উপর বিভিন্ন সময় সরকারি ও বেসরকারি সেন্সরশিপের তথ্য উপাত্ত দেখতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন।

বিস্তারিত

লেখার জন্য কারাবন্দী

ফেসবুকে লেখালেখির জন্য জেলে আছেন প্রচুর মানুষ। বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আজীবনের জন্য পঙ্গু হয়েছেন, আছেন এমন মানুষও। তাদের সম্পর্কে জানুন।
বিস্তারিত

বিচারহীনতার বাংলাদেশ

বিচার হচ্ছে না নিকট অতীতের কয়েকশ চাঞ্চল্যকর মামলার। যেসব মামলার সম্ভাব্য আসামী প্রভাবশালী রাজনীতিক অথবা ব্যবসায়ী অথবা ক্ষমতার কাছাকাছি থাকা কেউ।

বিস্তারিত

এখন কী অবস্থায় আছে?

ধর্মানুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে ডজনখানেক গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছিলো। সেসব গ্রাম, গ্রামের মানুষেরা এখন কেমন আছেন?
বিস্তারিত