সুনামগঞ্জে ‘কল্লা কাটা’ কবিতার গুজব রটানোর অভিযোগে ডিজিটাল আইনে গ্রেফতার ১

‘কল্লা কাটা’ শিরোনামে কবিতা লিখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব রটানো সুনামগঞ্জের ধর্মপাশার সেই মাওলানা ও কবি মো. আলী আমজাদ আল আজাদকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার বিকালে ডিজিটাল নিরাপক্তা আইনে মামলা দায়েরের পর ধর্মপাশা থানা পুলিশ তাকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে বিজ্ঞ আদালত তার জামিন মঞ্জুর না করে সুনামগঞ্জ জেলা কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।

আলী আমজাদ আল আজাদ ধর্মপাশা উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের রাজাপুর  ঘুলুয়া গ্রামের রংপুরহাটির মৃত মনির উদ্দিনের ছেলে ও পার্শ্ববর্তী নেত্রকোনা জেলার  মোহনগঞ্জ উপজেলার দুলিয়া জামে মসজিদের ইমাম।

থানা পুলিশ ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার লোকজন ও স্থানীয় সামাজিক যোগোযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীগণ সোমবার রাতে যুগান্তরকে জানান, ‘কল্লা কাটা’ শিরোনামের এক কবিতা লিখে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে গুজব রটান।

এর মাধ্যমে সারাদেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ ও নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টায় জড়িত থাকার অভিযোগে মাওলানা ও কবি মো. আলী আমজাদ আল আজাদকে ধর্মপাশা থানা পুলিশ সোমবার সকালে আটক করে।

এ ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তার বিরুদ্ধে পুলিশ বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

সোমবার রাতে ধর্মপাশা থানার ওসি মো. এজাজুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, আজাদ হঠাৎ করে কবি বনে গিয়ে গত শনিবার দুপুরে তিনি তার নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ‘কল্লা কাটা’ শিরোনামে একটি কবিতা লিখে তা পোস্ট করেন।

তিনি আরও বলেন, কবিতাটিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বর্তমান সরকার, সংসদ সদস্যবৃন্দ, পদ্মা সেতু, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রমসহ নানা বিষয় জড়িয়ে দেশে অস্থিতিশীল ও নৈরাজ্যকর অবস্থা তৈরি করার জন্য কবিতাটিতে নানা আপত্তিকর বিষয় তুলে ধরা হয়।

এটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়। এমন গুজব রটানোর খবর জানতে পেরে ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে পুলিশ অনুসন্ধানে নামে। ঘটনার সত্যতা পেয়ে আজাদকে ধর্মপাশা পশ্চিমবাজার থেকে আটক করা হয়।

যুগান্তর

সেন্সরশিপের খড়গ

স্বাধীন বাংলাদেশে চলচ্চিত্র, টিভি নাটক, মঞ্চ নাটকের উপর বিভিন্ন সময় সরকারি ও বেসরকারি সেন্সরশিপের তথ্য উপাত্ত দেখতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন।

বিস্তারিত

লেখার জন্য কারাবন্দী

ফেসবুকে লেখালেখির জন্য জেলে আছেন প্রচুর মানুষ। বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আজীবনের জন্য পঙ্গু হয়েছেন, আছেন এমন মানুষও। তাদের সম্পর্কে জানুন।
বিস্তারিত

বিচারহীনতার বাংলাদেশ

বিচার হচ্ছে না নিকট অতীতের কয়েকশ চাঞ্চল্যকর মামলার। যেসব মামলার সম্ভাব্য আসামী প্রভাবশালী রাজনীতিক অথবা ব্যবসায়ী অথবা ক্ষমতার কাছাকাছি থাকা কেউ।

বিস্তারিত

এখন কী অবস্থায় আছে?

ধর্মানুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে ডজনখানেক গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছিলো। সেসব গ্রাম, গ্রামের মানুষেরা এখন কেমন আছেন?
বিস্তারিত