সাংবাদিককে দেখে নেওয়ার হুমকি

নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে দ্বিতীয় দিনের মতো অনুমতি ছাড়াই সমাবেশ করেছেন আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ শামীম ওসমানের অনুগত নেতা-কর্মীরা। মানবতাবিরোধী অপরাধীদের ফাঁসি, জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ এবং শামীম ওসমান ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার বন্ধের দাবিতে জেলা যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ব্যানারে ওই সমাবেশ করা হয়। এই কারণে গতকালও মেধাবী ছাত্র তানভীর মুহাম্মদ ত্বকীর হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে সন্ত্রাস নির্মূলে ত্বকী মঞ্চের কর্মসূচি পালিত হয়নি। গতকালও জেলা যুবলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া ওরফে ক্যাঙ্গারু পারভেজ তাঁর বক্তব্যে সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী ও রফিউর রাব্বির বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দেন। দুজনের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সাহস থাকলে আমাদের বিরুদ্ধে থানায় গিয়ে মামলা করুন।’ জহিরুল সময় টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি শরীফ উদ্দিনের নাম উল্লেখ করে তাঁকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।জেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম বলেন, আইভীর মাধ্যমেই তানভীর হত্যাকারীদের খুঁজে বের করা হবে।জেলা যুবলীগের সহসভাপতি রতন দাসের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ প্রমুখ।সমাবেশ শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে নেতা-কর্মীরা মশাল মিছিল বের করেন। মিছিল শেষে আবার শহীদ মিনারে অবস্থান নেন তাঁরা।জেলা সাংস্কৃতিক জোটের কয়েকজন কর্মী বলেন, তানভীর হত্যার ঘটনায় শামীম ওসমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। তানভীর হত্যাকাণ্ড ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে তাঁরা যাতে শহীদ মিনারে নিয়মিত অনুষ্ঠান করতে না পারেন—এই কারণে শামীম ওসমানের অনুগত লোকজন শহীদ মিনার দখলে নিয়েছেন।তানভীরের বাবা ও নারায়ণগঞ্জের সাংস্কৃতিক ও নাগরিক আন্দোলনের নেতা রফিউর রাব্বি বলেন, ‘সাংস্কৃতিক জোট ও সন্ত্রাস নির্মূলে ত্বকী মঞ্চের উদ্যোগে শহীদ মিনারে নিয়মিত অনুষ্ঠান শুরু হচ্ছে। এই বিষয়ে ইতিমধ্যে সিটি করপোরেশনের সঙ্গে আমাদের আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে।’

প্রথম আলো

সেন্সরশিপের খড়গ

স্বাধীন বাংলাদেশে চলচ্চিত্র, টিভি নাটক, মঞ্চ নাটকের উপর বিভিন্ন সময় সরকারি ও বেসরকারি সেন্সরশিপের তথ্য উপাত্ত দেখতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন।

বিস্তারিত

লেখার জন্য কারাবন্দী

ফেসবুকে লেখালেখির জন্য জেলে আছেন প্রচুর মানুষ। বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আজীবনের জন্য পঙ্গু হয়েছেন, আছেন এমন মানুষও। তাদের সম্পর্কে জানুন।
বিস্তারিত

বিচারহীনতার বাংলাদেশ

বিচার হচ্ছে না নিকট অতীতের কয়েকশ চাঞ্চল্যকর মামলার। যেসব মামলার সম্ভাব্য আসামী প্রভাবশালী রাজনীতিক অথবা ব্যবসায়ী অথবা ক্ষমতার কাছাকাছি থাকা কেউ।

বিস্তারিত

এখন কী অবস্থায় আছে?

ধর্মানুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে ডজনখানেক গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছিলো। সেসব গ্রাম, গ্রামের মানুষেরা এখন কেমন আছেন?
বিস্তারিত