প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে হেনস্তা ও গ্রেপ্তারের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন ইউরোপের ১১ দেশের প্রবাসী ৩০ বাংলাদেশি। আজ বুধবার এক বিবৃতিতে তাঁরা রোজিনা ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তির পাশাপাশি পুরো ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানান।
পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য গত সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে গেলে রোজিনা ইসলামকে সেখানে পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় আটকে রেখে হেনস্তা করা হয়। একপর্যায়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। রাত সাড়ে আটটার দিকে পুলিশ তাঁকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়। রাত পৌনে ১২টার দিকে পুলিশ জানায়, রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে মামলা হয়েছে। তাঁকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রোজিনা ইসলামকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে নেওয়া হয়।
রোজিনা ইসলামকে হেনস্তার ঘটনায় দেশে–বিদেশে তীব্র সমালোচনা ও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। এ প্রতিবাদ এখনো চলছে।
আজ ৩০ প্রবাসী বাংলাদেশির দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের ৫০ বছর ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ পূর্তির এই সময় দেশের সমাজ ও রাজনীতিতে কতিপয় অসাধু মানুষ ও দুর্নীতিবাজদের কারণে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার মূল চেতনা ভুলণ্ঠিত হচ্ছে। সচিবালয়ে সাংবাদিকের কর্তব্য পালন করতে গিয়ে প্রথম আলোর বিশিষ্ট সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা হেনস্তার পর থানায় সোপর্দ করা হয়। তারপর তাঁর বিরদ্ধে মামলা দায়ের করে সারা রাত থানায় রেখে তাঁকে আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ডের আবেদন করা হয়। তাঁর রিমান্ডের আবেদন নাকচ হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনা প্রশাসনের ভেতরে থাকা কিছু দুর্নীতিবাজ আমলা যে কতটা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে, তারই বহিঃপ্রকাশ।