রনির বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা

পটুয়াখালী-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী গোলাম মাওলা রনির বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে (আইসিটি অ্যাক্ট) মামলা হয়েছে। স্থানীয় এক বিএনপি নেতার সঙ্গে রনির ‘থানা ঘেরাওয়ের’ নির্দেশনার একটি টেলিসংলাপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার ঘটনার সূত্র ধরে এ মামলা হয়েছে। রনি ছাড়াও পাঁচজনকে এ মামলায় আসামি করা হয়েছে।

মামলার বাদী পটুয়াখালী-৩ আসনের গোলাম মাওলা রনির প্রতিদ্বন্দ্বীর নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী মাসুদ। ২০ ডিসেম্বর

বৃহস্পতিবার রাতে গলাচিপা থানায় এ মামলা করা হয়।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গলাচিপা থানার ওসি আখতার মোর্শেদ। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, পটুয়াখালী-৩ আসনের প্রার্থীসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। তাদের কাউকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি বলে জানান তিনি।

রনি ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন-পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সহসভাপতি শাহজাহান খান, চিকনিকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শিপলু খান, রনির ভাই সরোয়ার হোসেন, শ্যালক মকবুল হোসেন ও শাহ আলম সানু।

মামলা প্রসঙ্গে রনি তার নিজ ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করেন, যেখানে তিনি বলেন, আপনারা জানেন যে, গলাচিপা থানায় আমার বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে মামলা করা হয়েছে। ওই মামলায় আমার কিছুই হবে না এবং উচ্চ আদালতে এ মামলা টিকবে না। শুধু হয়রানি করতে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গোলাম মাওলা রনি ২০০৮ সালে এই আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এবারও তিনি এ আসনে নৌকার টিকিট চেয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পেয়ে বিএনপিতে যোগ দেন। বিএনপি তাকে এ আসনে মনোনয়ন দিয়েছে।

গত ১৫ ডিসেম্বর গলাচিপা সদরে প্রচারের সময় তার স্ত্রী কামরুন্নাহার রুনুর গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ করেন রনি। এ ঘটনার জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করেন তিনি।

ঘটনার দুদিন পর ইউটিউবে রনির একটি কথোপকথনের অডিও ছড়িয়ে পড়ে। গলাচিপা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. শাহজাহান খানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন গোলাম মাওলা রনি। এতে তিনি বলেন, ‘তোমরা আগে গাড়িটা নিয়ে থানায় যাও। থানায় গিয়ে এ সুযোগে প্রার্থীসহ সবার নামে মামলা দিয়ে দাও। আমি ওপরে প্রেসার ক্রিয়েট (চাপ সৃষ্টি) করতেছি। তোমরা সমস্ত নেতারা থানা ঘেরাও করো। ওখানে বসে তোমার ভাবিকে বাদী করো…’। এই কথোপকথন ফেসবুকেও ছড়িয়ে পড়ে।

এ ঘটনায় করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার এজাহারে বলা হয়, ‘গত ১৫ ডিসেম্বর দুপুরে গলাচিপা টিঅ্যান্ডটি সড়কে গোলাম মাওলা রনির স্ত্রীসহ তার পরিবারের সদস্যরা আত্মঘাতী ঘটনা ঘটিয়ে আইনশৃঙ্খলার অবনতি করে নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে। মোবাইলে তার কথোপকথন ফেসবুকে ভাইরাল হলে জনমনে ভীতির সৃষ্টি হয়, যা আসন্ন নির্বাচনে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।’

এ বিষয়ে গোলাম মাওলা রনি আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা ও অবান্তর। রনির ভাষ্য- ‘হাইকোর্টের নির্দেশনা আছে যে ক্ষতিগ্রস্তরা ছাড়া একই ঘটনায় অন্য কোনো পক্ষ মামলা করতে পারবে না। এখানে আমার স্ত্রীসহ পরিবারের লোকজন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সে ঘটনায় আমার স্ত্রীর অভিযোগ থানা পুলিশ গ্রহণ না করে আইন লঙ্ঘন করেছে। উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে একটি সাজানো মামলা করা হয়েছে।’

যুগান্তর

সেন্সরশিপের খড়গ

স্বাধীন বাংলাদেশে চলচ্চিত্র, টিভি নাটক, মঞ্চ নাটকের উপর বিভিন্ন সময় সরকারি ও বেসরকারি সেন্সরশিপের তথ্য উপাত্ত দেখতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন।

বিস্তারিত

লেখার জন্য কারাবন্দী

ফেসবুকে লেখালেখির জন্য জেলে আছেন প্রচুর মানুষ। বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আজীবনের জন্য পঙ্গু হয়েছেন, আছেন এমন মানুষও। তাদের সম্পর্কে জানুন।
বিস্তারিত

বিচারহীনতার বাংলাদেশ

বিচার হচ্ছে না নিকট অতীতের কয়েকশ চাঞ্চল্যকর মামলার। যেসব মামলার সম্ভাব্য আসামী প্রভাবশালী রাজনীতিক অথবা ব্যবসায়ী অথবা ক্ষমতার কাছাকাছি থাকা কেউ।

বিস্তারিত

এখন কী অবস্থায় আছে?

ধর্মানুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে ডজনখানেক গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছিলো। সেসব গ্রাম, গ্রামের মানুষেরা এখন কেমন আছেন?
বিস্তারিত