ভোলায় মহাম্মদকে নিয়ে কটূক্তির গুজব, পূজা পরিষদের সভাপতি আটক

ভোলায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক হযরত মুহাম্মদকে নিয়ে কথিত কটূক্তি ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার গুজব ওঠায় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ভোলা জেলা শাখার সভাপতি গৌরাঙ্গ চন্দ্র দেকে (৫০) আটক করেছে পুলিশ।

 

বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে গৌরাঙ্গ চন্দ্র দেকে ৫৪ ধারায় আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার।

এদিকে হযরত মুহাম্মদকে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে উগ্রপন্থী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ভোলা জেলা উত্তর শাখা বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। আগামী ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম ঘোষণা করেন সংগঠনের নেতা কর্মীরা।
জানা যায়, বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে সাড়ে ৯ টায় গৌরাঙ্গ (Gourango) নামের একটি ফেসবুক আইডির মেসেঞ্জার থেকে জয় রাম নামের ফেসবুক আইডির মেসেঞ্জারে মুহাম্মদকে নিয়ে কটূক্তি ও কুরুচিপূর্ণ ভাষায় মন্তব্য করেছে বলে সঙ্ঘবদ্ধভাবে গুজব ছড়ানো হয়। পরবর্তীতে জয় রাম নামের ফেসবুক আইডিতে গৌরাঙ্গ নামের এই আইডির কথোপকথন স্কিনসট (ছবি) করে পোস্ট করেন। এতে গৌরাঙ্গকে মোসলমান দমনে সেরা নেতা দাবি করা হয়। যা দ্রুত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয় উগ্রপন্থী একটি চক্র। এতে জেলার ধর্মান্ধ মুসলমানদের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।

এ ঘটনায় রাতেই ভোলা সদর মডেল থানায় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ভোলা জেলা শাখার সভাপতি গৌরাঙ্গ চন্দ্র দে নিজে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এবং নিজের নিরাপত্তার জন্য থানায় অবস্থান নেন।

ভোলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান, প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের কাজ চলছে। গৌরাঙ্গ চন্দ্র দেকে ৫৪ ধারায় সন্দেহভাজন হিসাবে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং নিরাপত্তার জন্য তার বাড়িতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ইত্তেফাক

সেন্সরশিপের খড়গ

স্বাধীন বাংলাদেশে চলচ্চিত্র, টিভি নাটক, মঞ্চ নাটকের উপর বিভিন্ন সময় সরকারি ও বেসরকারি সেন্সরশিপের তথ্য উপাত্ত দেখতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন।

বিস্তারিত

লেখার জন্য কারাবন্দী

ফেসবুকে লেখালেখির জন্য জেলে আছেন প্রচুর মানুষ। বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আজীবনের জন্য পঙ্গু হয়েছেন, আছেন এমন মানুষও। তাদের সম্পর্কে জানুন।
বিস্তারিত

বিচারহীনতার বাংলাদেশ

বিচার হচ্ছে না নিকট অতীতের কয়েকশ চাঞ্চল্যকর মামলার। যেসব মামলার সম্ভাব্য আসামী প্রভাবশালী রাজনীতিক অথবা ব্যবসায়ী অথবা ক্ষমতার কাছাকাছি থাকা কেউ।

বিস্তারিত

এখন কী অবস্থায় আছে?

ধর্মানুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে ডজনখানেক গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছিলো। সেসব গ্রাম, গ্রামের মানুষেরা এখন কেমন আছেন?
বিস্তারিত