ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান বাবুকে কুপিয়ে হত্যা

‘আমি অভিজিৎ, শব্দকে হত্যা করা যায় না’ লেখা ছবি ফেসবুকের প্রোফাইল ও কভার ফটো হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন ওয়াশিকুর রহমান বাবু। অভিজিৎ রায়কে হত্যার প্রতিবাদ করা এই যুবক আগের প্রোফাইল ফটো বদলে গত ২৮ মার্চ নতুন এ ছবিটি ব্যবহার করেন।  ৩০ মার্চ সোমবার সকালে শেষ পর্যন্ত অভিজিতের মতো ট্র্যাজেডির শিকার হলেন ২৭ বছরের যুবক বাবু।

 

বিজ্ঞানমনস্ক লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায়কে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার এক মাসের মাথায় একই কায়দায় নির্মমভাবে তাকে খুন করা হয়। স্বাধীনতা দিবসে তিনি ফেসবুকে লিখেছিলেন_ ‘স্বাধীন নয় মুক্তচিন্তার মানুষ, স্বাধীন নয় মানুষ হতে চাওয়া মানুষগুলো…।’ যেন এ কথাকে সত্য প্রমাণ করতেই তার বাসা থেকে মাত্র ৫০ গজ দূরে ঘটল মর্মান্তিক এ হত্যাকাণ্ড। পেশায় একটি ট্রাভেল এজেন্সির শিক্ষানবিশ কর্মকর্তা বাবু তার বাবার সঙ্গে তেজগাঁও শিল্প এলাকার দক্ষিণ বেগুনবাড়ীতে থাকতেন। অভিজিৎ হত্যার পর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও প্রত্যক্ষদর্শীদের নিষ্ক্রিয়তায় খুনিরা নিরাপদে পালিয়ে গেলেও এবার জনতা ধাওয়া করে দু’জনকে আটক করেছে। এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা
পালন করেছেন এক হিজড়া। আটক দু’জন হলো_ শাহ আহমদ শফী পরিচালিত চট্টগ্রামের হাটহাজারীর দারুল উলুম মইনুল ইসলাম মাদ্রাসার ছাত্র জিকরুল্লাহ ও ঢাকার মিরপুরের দারুল উলুম মাদ্রাসার ছাত্র আরিফুল ইসলাম। আটক দু’জনের দাবি, বাবু ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করায় ‘ইমানি দায়িত্ব’ হিসেবে তাকে হত্যা করে তারা। আবু তাহের নামে হত্যায় অংশ নেওয়া আরও এক যুবক পালিয়েছে। বাবুকে হত্যার পুরো বিষয়টি সমন্বয় করে মাসুম নামে আরেক মাদ্রাসাছাত্র। ব্লগার বাবুকে খুন করতে রোববার হাতিরঝিলে বৈঠক করে তারা। এরপর সন্ধ্যায় বাবুর বাসা রেকি করে সব কিছু চূড়ান্ত করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা দুটি চাপাতিসহ মোট তিনটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যার ঘটনায় গতকাল রাতে বাবুর ভগি্নপতি মনির হোসেন মাসুদ বাদী হয়ে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় একটি মামলা করেছেন। এতে গ্রেফতারকৃত জিকরুল্লাহ, আরিফুলসহ পলাতক আবু তাহের ও মাসুমকে আসামি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার সমকালকে বলেন, নিহত যুবক অনলাইনে নিজের মতাদর্শ প্রচার করতেন। এই মতাদর্শ নিয়ে বিরোধের কারণেই উগ্রপন্থি একটি চক্র তাকে হত্যা করে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। জড়িত দু’জনকে এরই মধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা জানিয়েছে, পরিকল্পিতভাবেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়।
এর আগে উগ্রপন্থিদের হাতে একই কায়দায় খুন হন অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদ, ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার, ড. এ কে এম শফিউল ইসলাম লিলন, লেখক অভিজিৎ রায় ও রাকিব মামুন। এ ছাড়া হামলার শিকার হন ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিনসহ আরও অনেকে।
তেজগাঁও শিল্প এলাকার দক্ষিণ বেগুনবাড়ীর ৪/৩-এ নম্বর বাসা বিসমিল্লাহ মঞ্জিলের দোতলায় সাবলেট থাকতেন বাবু ও তার বাবা গাড়ির যন্ত্রাংশ ব্যবসায়ী টিপু সুলতান। ওই বাসায় পরিবার নিয়ে থাকেন আমদানি-রফতানি ব্যবসায়ী জাকির হোসেন। তার মেয়ে খালেছা হোসেন ইমাদ সমকালকে বলেন, দুই বছর ধরে বাবা-ছেলে একটি ঘরে থাকেন। প্রতিদিন সকালে তারা নিজের কাজে বের হয়ে যান। গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জের উত্তর হাজীপুরে যাওয়ার জন্য গতকাল সকাল ৭টার দিকে বের হন টিপু সুলতান। এরপর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাবু বের হন।
যেভাবে হত্যাকাণ্ড :গ্রেফতার জিকরুল্লাহ ও আরিফুল ইসলাম তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় সমকালকে জানায়, পরিকল্পনা অনুযায়ী সকাল ৯টায় তারা তিনজন বাবুর বাসার সামনে মিলিত হয়। এরপর তারা আড্ডা দেওয়ার ছলে তার বের হওয়ার অপেক্ষায় থাকে। তাদের সঙ্গে থাকা ব্যাগে ছিল চাপাতি। সাড়ে ৯টার দিকে বাবু বের হলে তাকে অনুসরণ করে তিনজন। দক্ষিণ বেগুনবাড়ী মসজিদের গলিতে ৪-২ নম্বর বাড়ির সামনে পেঁৗছলে জিকরুল্লাহ ও আবু তাহের ব্যাগ থেকে চাপাতি বের করে বাবুকে কোপাতে শুরু করে। আরিফুল চাপাতি বের করার আগেই বাবু রক্তাক্ত হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে। তখন সবাই পালানোর উদ্দেশ্যে দৌড় দেয়। ঘটনাস্থলের পাশের বাড়িটির দোতলার বাসিন্দা শাহনাজ জানান, চিৎকার শুনে তিনি জানালা দিয়ে উঁকি দেন। এ সময় রক্তাক্ত অবস্থায় এক যুবককে ছটফট করতে দেখেন।
হিজড়ার সাহসিকতায় ধরা পড়ল দু’জন :স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দিনের বেলায় প্রকাশ্যে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার দৃশ্য দেখে ভয়ে উপস্থিত লোকজন প্রথমে পালিয়ে যান। আশপাশের কয়েকটি দোকান বন্ধ করে ব্যবসায়ীরা দিগ্গি্বদিক ছুটে যান। এ সময় সাহসী ভূমিকায় অবতীর্ণ হন এক হিজড়া। তিনি চিৎকার শুনে দৌড়াতে থাকা জিকরুলকে জাপটে ধরেন। তবে বেশিক্ষণ আটকে রাখতে পারেননি। পরে আরও কিছু লোকজন ধাওয়া করে তাকে আটক করে। এদিকে ঘটনাস্থলের অদূরে বসে নাশতা করছিলেন রফিক নামে এক যুবক। তিনিও খুনিদের ধাওয়া করেন। পরে টহল পুলিশও জনগণের সঙ্গে ধাওয়া করে। শেষ পর্যন্ত লাভ রোডে এসে আরিফুলকে ধরে ফেলেন শরীফ। আটক জিকরুল্লাহ পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, হত্যা মিশন সফল করে তিনজন প্রায় নিরাপদে পালিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় এক হিজড়া তাকে হঠাৎ জাপটে ধরায় পালাতে পারেনি। জনতার হাতে ধরা পড়ে। সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষেরা যখন নির্মম হত্যা দৃশ্য দেখে খুনিদের আটকের চেষ্টা না করে পালিয়ে যেতে ব্যস্ত, তখন একজন হিজড়াই প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে খুনিদের আটকের প্রাণান্তকর চেষ্টা করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন বলে জানান এলাকার লোকজন। যারা সমাজে অনেকটাই অবহেলিত অচ্ছুত।
আবর্জনার পাশে রক্ত :গতকাল ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের দীপিকার মোড় থেকে মসজিদের পাশ দিয়ে যাওয়া সরু গলির পাশের একটি স্থানে ড্রেনের কিছু আবর্জনা তুলে রাখা হয়েছে। পাশেই রক্তে রঞ্জিত হয়ে আছে পিচঢালা রাস্তা। বাবুর ঘরে গিয়ে দেখা যায়, আসবাব বলতে রয়েছে একটি ছোট্ট খাট ও টেবিল। টেবিলের ওপরে ল্যাপটপটি পড়ে ছিল। দেয়ালে ঝুলছে বাবুর শার্ট, গেঞ্জি ও সোয়েটার। গৃহকর্তার মেয়ে খালেছা হোসেন ইমাদ জানান, সন্ধ্যা ৭টার মধ্যেই সাধারণত বাসায় ফিরতেন বাবু। এরপর গভীর রাত পর্যন্ত ল্যাপটপে কাজ করতেন।
মতাদর্শের বিরোধে খুন :হত্যাকাণ্ডের পর দুপুরে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে উপ-কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, মতাদর্শের বিরোধের কারণেই গ্রেফতারকৃতরা বাবুকে হত্যা করে। তাদের মধ্যে জিকরুল্লাহ শনিবার চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আসে। রাতে সে যাত্রাবাড়ীর একটি মসজিদে থাকে। রোববার বিকেলে জিকরুল্লাহ, আরিফুল ইসলাম, আবু তাহেরসহ চারজন হাতিরঝিলে বৈঠক করে। এদিনই তারা বাবুর বাসা রেকি করে। গতকাল সকালে পরিকল্পনামাফিক হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়। একই চক্র অন্য মুক্তমনা ব্লগার ও লেখকদের খুন করেছে কি-না তাও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। টাকার বিনিময়ে তারা এই হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়নি বলে জানা গেছে। তবে খুনিদের পেছনে অন্য বড় কোনো শক্তি রয়েছে কি-না খতিয়ে দেখা হবে।
শিল্পাঞ্চল থানার ওসি সালাহউদ্দিন জানান, জিকরুল্লাহর গ্রামের বাড়ি নরসিংদীর রায়পুরার গজারিয়াকান্দিতে। সে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় তাফসির বিভাগে পড়ে। তার বাবার নাম মইনুদ্দিন। আরিফুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার তিতাস উপজেলার বারকাউলিয়ায়। সে মিরপুর-১ নম্বর সেকশনের দারুল উলুম মাদ্রাসায় ইবতেদায়ি বিভাগে পড়ে। গ্রেফতারের পর তারা বলে, ‘ব্লগ কি জানি না, তবে আমরা জানি সে ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করেছে। তাই ইমানি দায়িত্ব হিসেবে তাকে হত্যা করেছি।’
স্বজনদের বক্তব্য :নিহতের বাবা টিপু সুলতান ফোনে জানান, বাবু শান্ত স্বভাবের ছেলে ছিলেন। ব্লগে বাবুর লেখালেখির বিষয় তিনি জানতেন না। দু’বছর আগে বাবু তেজগাঁও কলেজ থেকে অনার্স পাস করেন। মতিঝিলের ফারইস্ট এভিয়েশন ট্রাভেলস নামের প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন।
নিহতের চাচাতো বোন শিল্পী আক্তার ও চাচাতো ভাই হেলাল ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে গিয়ে ভাইয়ের লাশ শনাক্ত করেন। তারা জানান, দুই ভাই-বোনের মধ্যে ছোট ছিলেন বাবু। তার বড় বোন আশরাফী সুলতানা শিমুর বিয়ে হয়েছে। তাদের মা রেহানা বেগম অনেক বছর ধরেই আলাদা থাকেন।
ফারইস্ট এভিয়েশন ট্রাভেলসের মালিক কুতুবউদ্দিন চৌধুরী সমকালকে জানান, ১৪ মাস ধরে তার প্রতিষ্ঠানে শিক্ষানবিশ রিজার্ভেশন অফিসার হিসেবে কাজ করছিলেন বাবু। তিনি খুবই শান্তশিষ্ট স্বভাবের ছিলেন। ওয়াশিকুর রহমান বাবুর ফেসবুক টাইমলাইনে গিয়ে দেখা যায়, অভিজিৎ রায় হত্যা ও ধর্মীয় বিভিন্ন বিষয়ে তিনি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। এ ছাড়া তিনি কয়েকটি ব্লগে ‘কুচ্ছিত হাঁসের ছানা’, ‘গণ্ডমূর্খ’, ‘বোকা মানব’ ইত্যাদি ছদ্মনামে লিখতেন। এ জন্য তিনি প্রায়ই হত্যার হুমকি পেতেন বলে তার বন্ধু-বান্ধবরা জানান।
হত্যার পরিকল্পনা :তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় জিকরুল্লাহ ও আরিফুল ইসলাম সমকালকে জানায়, মাসুম নামে এক যুবক তাদের এ হত্যাকাণ্ডে উদ্বুদ্ধ করে। সেই আলাদাভাবে সবার সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টির সমন্বয় করে। নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের জন্য তারা অনলাইনে ‘প্রোটেক্টেড টেক্সট’ নামে এক সার্ভিস ব্যবহার করে। গত বছরে রমজানের ঈদের পর চট্টগ্রামে ফেরার সময় ট্রেনে জিকরুল্লাহর সঙ্গে মাসুমের পরিচয় হয়। আর আরিফুলের সঙ্গে তার পরিচয় হয় দেড় মাস আগে ফার্মগেট এলাকার একটি মসজিদে। এরপর বায়তুল মোকাররম মসজিদেও তাদের দেখা হয়। মাসুম ডেকে পাঠালে রোববার বিকেলে তারা হাতিরঝিলে মিলিত হয়। এ সময় তারা একমত হয়_ ‘বাবু ধর্মকে কটূক্তি করে আসছে। তাকে বাঁচিয়ে রাখা যাবে না।’ এর পরই বাবুকে হত্যার পরিকল্পনা করে। মাসুম ওই সময় নিজের ব্যাগ থেকে তিনটি চাপাতি বের করে তিনজনকে দেয়। এরপর তাদের নিয়ে আসে দক্ষিণ বেগুনবাড়ীতে বাবুর বাসার সামনে। এলাকাটি তারা ভালো করে ঘুরে দেখে। কোন পথে এসে কোন পথে বের হবে, তাও ঠিক করে। আরিফুল একটু ভয় পাচ্ছিল দেখে মাসুম তাকে অভয় দিয়ে বলে, ‘আবু তাহের মূল কাজ করবে। তুমি সঙ্গে থেকে দেখো আর শেখো। সম্ভব হলে তুমিও দুই-একটা কোপ দিও।’
মাথা ও মুখে ৯ কোপ :সুরতহাল প্রতিবেদনে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার এসআই হাবিবুর রহমান উল্লেখ করেছেন, বাবুর মুখমণ্ডল ও মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের বেশ কয়েকটি চিহ্ন ছিল। তার মাথার পেছনে নিচের অংশে, নাক থেকে দুই চোখের ওপর দিয়ে কান পর্যন্ত, থুতনির মাঝ বরাবর, গলার উপরের অংশে, নিচে ও গালে গভীর কাটা দাগ রয়েছে।
গণজাগরণ মঞ্চের বিক্ষোভ : ব্লগার বাবু হত্যার প্রতিবাদে গতকাল সোমবার বিক্ষোভ মিছিল করেছে গণজাগরণ মঞ্চ। সন্ধ্যা ৬টার দিকে মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকারের নেতৃত্বে এই মিছিল বের হয়। মিছিলটি শাহবাগ থেকে শুরু হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ঘুরে পুনরায় শাহবাগে পেঁৗছে শেষ হয়।
ইইউর নিন্দা :ব্লগার ওয়াশিকুর হত্যার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়াদুন। সোমবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন, বাংলাদেশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে দেওয়া বার্তায় তিনি এ নিন্দা জানান। তিনি বলেন, এক মাস আগে ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডের পর আবারও একই ধরনের বীভৎস ঘটনা ঘটল। বাবু হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারা বলেছে, অভিজিৎ রায় হত্যার কিছুদিন পরই আরেক ব্লগার হত্যাকাণ্ড প্রমাণ করে, ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার কোনো ব্যবস্থা হয়নি। নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম।
গ্রামে শোকের ছায়া :রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি জানান, বাবুকে হত্যার ঘটনায় তার গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ৫নং চণ্ডীপুর ইউনিয়নের উত্তর হাজীপুর গ্রামে চলছে শোকের মাতম। নিহতের বোন আশরাফী সুলতানা শিমু কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, মেধাবী বাবু ২০০৪ সালে উপজেলার চণ্ডীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে থেকে এসএসসি পাস করে ঢাকায় আসেন।

সমকালএন টিভি অনলাইন

 

সেন্সরশিপের খড়গ

স্বাধীন বাংলাদেশে চলচ্চিত্র, টিভি নাটক, মঞ্চ নাটকের উপর বিভিন্ন সময় সরকারি ও বেসরকারি সেন্সরশিপের তথ্য উপাত্ত দেখতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন।

বিস্তারিত

লেখার জন্য কারাবন্দী

ফেসবুকে লেখালেখির জন্য জেলে আছেন প্রচুর মানুষ। বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আজীবনের জন্য পঙ্গু হয়েছেন, আছেন এমন মানুষও। তাদের সম্পর্কে জানুন।
বিস্তারিত

বিচারহীনতার বাংলাদেশ

বিচার হচ্ছে না নিকট অতীতের কয়েকশ চাঞ্চল্যকর মামলার। যেসব মামলার সম্ভাব্য আসামী প্রভাবশালী রাজনীতিক অথবা ব্যবসায়ী অথবা ক্ষমতার কাছাকাছি থাকা কেউ।

বিস্তারিত

এখন কী অবস্থায় আছে?

ধর্মানুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে ডজনখানেক গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছিলো। সেসব গ্রাম, গ্রামের মানুষেরা এখন কেমন আছেন?
বিস্তারিত