ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাংসদের বক্তব্য বিকৃত করার অভিযোগে তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে মামলা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সাংসদ র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর বক্তব্য বিকৃত করে অনলাইনে সংবাদ প্রকাশের অভিযোগে তিনজনের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়। ১১ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার রাতে সদর থানায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

 

মামলার তিন আসামি হলেন যুবকণ্ঠ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পাদক নেয়ামতুল্লাহ আমিন, প্রতিবেদক খালিদ সাইয়্যাফ ও মদিনা নিউজ টোয়েন্টিফোরের সম্পাদক (তাঁর নাম উল্লেখ নেই)।

মামলায় সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ এইচ মাহবুবুল আলম, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন ও কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক আবদুল আজিজকে সাক্ষী করা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বাদী হয়ে মামলাটি করেন। ফেসবুক পেজের লিংকগুলো জব্দ করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে ৭ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসন একটি সভার আয়োজন করে। সভায় সাংসদ মোকতাদির চৌধুরী বিভিন্ন নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন। বিভিন্ন জাতীয় দিবসে ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, পর্যবেক্ষণ ও উদ্বুদ্ধকরণের বিষয়ে আলোচনা করা হয়। ৯ ফেব্রুয়ারি নেয়ামতুল্লাহ আমিন সম্পাদিত অনলাইন নিউজ পোর্টালে খালিদ সাইয়্যাফের লেখা ‘কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশে থাকারই অধিকার নেই: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এমপি’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ফেসবুকে শেয়ার করেন। একইভাবে মদিনা নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম নামের আরেকটি নিউজ পোর্টালে সংবাদটি প্রকাশ করা হয়। যা স্থানীয় কওমি মাদ্রাসা ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করে।

জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন বলেন, তাঁরা যেটিকে শিরোনাম বানিয়েছেন, সাংসদ এ ধরনের কোনো কথা বলেননি। তাঁরা সাংসদের বক্তব্যকে বিকৃত করে সংবাদ প্রকাশ করেছেন, যা স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, সাংসদ মোকতাদির চৌধুরী জেলা প্রশাসকের উদ্দেশে ওই সভায় বলেছিলেন, আপনারা মনিটরিং করবেন জাতীয় দিবসে মাদ্রাসাগুলোতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন হয় কি না। তা নজরদারি করার জন্য প্রয়োজনে একাধিক কমিটি তৈরি করবেন। কিন্তু এটিকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। সাংসদ জাতীয় দিবসে প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও কওমি মাদ্রাসাগুলোতে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের আহ্বান জানান।

প্রথম আলো

সেন্সরশিপের খড়গ

স্বাধীন বাংলাদেশে চলচ্চিত্র, টিভি নাটক, মঞ্চ নাটকের উপর বিভিন্ন সময় সরকারি ও বেসরকারি সেন্সরশিপের তথ্য উপাত্ত দেখতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন।

বিস্তারিত

লেখার জন্য কারাবন্দী

ফেসবুকে লেখালেখির জন্য জেলে আছেন প্রচুর মানুষ। বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আজীবনের জন্য পঙ্গু হয়েছেন, আছেন এমন মানুষও। তাদের সম্পর্কে জানুন।
বিস্তারিত

বিচারহীনতার বাংলাদেশ

বিচার হচ্ছে না নিকট অতীতের কয়েকশ চাঞ্চল্যকর মামলার। যেসব মামলার সম্ভাব্য আসামী প্রভাবশালী রাজনীতিক অথবা ব্যবসায়ী অথবা ক্ষমতার কাছাকাছি থাকা কেউ।

বিস্তারিত

এখন কী অবস্থায় আছে?

ধর্মানুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে ডজনখানেক গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছিলো। সেসব গ্রাম, গ্রামের মানুষেরা এখন কেমন আছেন?
বিস্তারিত