বিএসএমএমইউতে বাংলা ট্রিবিউনের সাংবাদিককে হেনস্তা

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হয়েছেন বাংলা ট্রিবিউনের প্রতিবেদক জাকিয়া আহমেদ।

 

সোমবার (১৬ আগস্ট) সকালে এ ঘটনা ঘটে।

বাংলা ট্রিবিউনের স্বাস্থ্য বিষয়ক এ প্রতিবেদক বিএসএমএমইউ’র টিকাদান কেন্দ্রে যান পেশাগত কাজে। সেখানে যাওয়ার পর তাকে নাজেহাল করেছেন বিএসএমএমইউ’র উপ-পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. খোরশেদ আলম।

বিএসএমএমইউতে টিকা দেওয়া হচ্ছে পরীবাগের ডক্টরস ডরমেটরি ভবনে। সেখানে টিকা নিতে আসা মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে কিনা, টিকা কেন্দ্রের কী অবস্থা দেখার পাশাপাশি টিকা নিতে আসা মানুষের সঙ্গে কথা বলছিলেন প্রতিবেদক জাকিয়া আহমেদ। এ সময় টিকাকেন্দ্রের অবস্থা ভিডিও করার সময় সেখানে দায়িত্বরত রেডক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবী দলের টিম লিডার পরিচয়ে এক নারী তাকে বাধা দেন। ভিডিও করার অনুমতি কার কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে জানতে চান। জাকিয়া আহমেদ জানান, এখানে অনুমতি নেওয়ার কিছু নেই এবং বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনও দিন অনুমতি নেওয়ার কথা বলেনি।

কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া টিকাদান কেন্দ্রে অবস্থান করা যাবে না এবং কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে জানিয়ে তিনি এ প্রতিবেদককে নিয়ে যান উপ-পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. খোরশেদ আলমের কক্ষে।

তিনি জাকিয়া আহমেদের কাছে প্রতিষ্ঠানের নাম জানতে চান। প্রতিষ্ঠানের নাম জানানোর পর দুর্ব্যবহার করেন। জিজ্ঞাসা করেন, আপনার কাজ কী এখানে, আপনি এখানে কেন এসেছেন।

এ সময় তিনি জানান, বিএসএমএমইউতে সাংবাদিক প্রবেশ করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি লাগবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া এখানে সাংবাদিক প্রবেশ করতে পারবে না।

জবাবে জাকিয়া আহমেদ ওই পরিচালককে জানান, বিএসএমএমইউতে কখনোই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতির দরকার হয়নি এবং এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ লিখিত বা মৌখিকভাবেও কিছু জানায়নি। এ সময় ডা. খোরশেদ আলম বলেন, তাদের এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাই সাংবাদিককে বের হয়ে যেতে হবে।

এ সময় উপ-পরিচালক খোরশেদ আলম উপস্থিত সবার সামনে এ প্রতিবেদককে সেখানে গেটের বাইরে বের করে দেবার জন্য নির্দেশ দেন রেড ক্রিসেন্টের সেই স্বেচ্ছাসেবককে। এই পুরোটা সময় অত্যন্ত রূঢ় আচরণ করেন তিনি।

তিনি এও বলেন, এ ঘটনায় তার পক্ষে বা বিপক্ষে যাই নিউজ হোক না কেন কিছু করার নেই।

তবে বিএসএমএমইউতে সাংবাদিক নিষিদ্ধ কিনা জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, এ ধরনের কোনও নির্দেশনা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি। তিনি বিষয়টি কেন হলো তা দেখবেন বলে জানান।

বাংলা ট্রিবিউন

সেন্সরশিপের খড়গ

স্বাধীন বাংলাদেশে চলচ্চিত্র, টিভি নাটক, মঞ্চ নাটকের উপর বিভিন্ন সময় সরকারি ও বেসরকারি সেন্সরশিপের তথ্য উপাত্ত দেখতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন।

বিস্তারিত

লেখার জন্য কারাবন্দী

ফেসবুকে লেখালেখির জন্য জেলে আছেন প্রচুর মানুষ। বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আজীবনের জন্য পঙ্গু হয়েছেন, আছেন এমন মানুষও। তাদের সম্পর্কে জানুন।
বিস্তারিত

বিচারহীনতার বাংলাদেশ

বিচার হচ্ছে না নিকট অতীতের কয়েকশ চাঞ্চল্যকর মামলার। যেসব মামলার সম্ভাব্য আসামী প্রভাবশালী রাজনীতিক অথবা ব্যবসায়ী অথবা ক্ষমতার কাছাকাছি থাকা কেউ।

বিস্তারিত

এখন কী অবস্থায় আছে?

ধর্মানুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে ডজনখানেক গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছিলো। সেসব গ্রাম, গ্রামের মানুষেরা এখন কেমন আছেন?
বিস্তারিত