বায়তুল মোকাররমে দেশ রূপান্তরের রুবেলসহ ১৩ সাংবাদিক আহত

রাজধানীর বায়তুল মোকাররম এলাকায় পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষের ঘটনায় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে দেশ রূপান্তরের ফটোসাংবাদিকসহ ১৩ সাংবাদিক আহত হয়েছেন।

 

২৬ মার্চ শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের পর বিক্ষোভকারীরা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকায় আগমনের প্রতিবাদে স্লোগান দিয়ে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেট থেকে মিছিল শুরু করেন। পরে পুলিশ তাদের ওপর রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে এবং লাঠিচার্জ করে।

সংঘর্ষের ঘটনায় সাংবাদিকদের পাশাপাশি আর ৬০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় ফটোসাংবাদিকদের কারও কারও মোবাইল ও ক্যামেরা কেড়ে নেওয়া হয়। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত সাংবাদিকেরা বলেছেন, ‘ছবি তুলবি না’ বলেই তাদের ওপর হামলা করা হয়।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা এ হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া পুলিশের ছোড়া গুলি এবং দুই পক্ষের ঢিলের আঘাতেও আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন সাংবাদিক।

আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের চিকিৎসা নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া।

এই ঘটনায় হামলার শিকার ও আহত ফটোসাংবাদিকেরা হলেন- দেশ রূপান্তরের রুবেল রশীদ, প্রথম আলোর হাসান রাজা ও আশরাফুল আলম, ডেইলি স্টারের এমরান হোসেন ও প্রবীর দাস, বাংলাদেশ প্রতিদিনের জয়িতা রায়, নিউএজের আবদুল্লাহ অপু, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরের মাহমুদুজ্জামান অভি, ডেইলি সানের রিয়াজ আহমেদ ও সারাবাংলা ডট নেটের হাবিবুর রহমান। ঢিলের আঘাতে ৭১ টিভির প্রতিবেদক ইশতিয়াক ইমন এবং পুলিশের ছোড়া ছররা গুলিতে বাংলাভিশনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক দীপন দেওয়ান ও বাংলানিউজের শেখ জাহাঙ্গীর আহত হন।

আহত ফটোসাংবাদিকেরা জানান, সংঘর্ষের সময় বিক্ষোভকারীরা মসজিদের ভেতর ও আঙিনায় অবস্থান করেন আর যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মসজিদের বাইরে থেকে ঢিল ছুড়ছিলেন। ঘটনার ছবি তুলতে তাঁরা যখন ক্যামেরা বের করেছেন, তখনই ‘এই ছবি তুলবি না’ বলে নেতা-কর্মীরা তাঁদের পিটিয়েছেন। সবচেয়ে বেশি হামলার ঘটনা ঘটেছে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেট এলাকায়। এ দিকে কয়েক হাজার সরকারদলীয় নেতা-কর্মী অবস্থান করছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রথম আলোর ফটোসাংবাদিক হাসান রাজাকে পিস্তলের বাঁট দিয়ে আঘাত করা হয়। দেশ রূপান্তর-এর ফটোসাংবাদিক রুবেল রশীদের ক্যামেরা এবং প্রথম আলোর ফটোসাংবাদিক শুভ্র কান্তি দাসের মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়। এ ছাড়া ক্যামেরা নিয়ে ছবি ও ভিডিও মুছে ফেলার অভিযোগ করেছেন অনেকে।

পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি কিংবা কাউকে আটকও করা হয়নি। কয়েকজন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন। কিন্তু, কতজন তা এখনই বলা যাচ্ছে না।

ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার সৈয়দ নুরুল ইসলাম ঘটনার পর সাংবাদিকদের বলেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে এসেছেন। সুতরাং আজকে যাতে বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়, সে জন্য নিরাপত্তাবেষ্টনী ছিল। ভেতরে নামাজ শেষ হলে যখন কিছু মুসল্লি জুতা-স্যান্ডেল দেখিয়ে মিছিল শুরু করেন, তখন অন্য মুসল্লিরা বাধা দেন।

তিনি আরও বলেন, তখন দুই ধরনের মুসল্লিদের মধ্যে সাংঘর্ষিক অবস্থার সৃষ্টি হয়। একটা পর্যায়ে যারা জুতা-স্যান্ডেল দেখিয়েছেন, তারা মসজিদের ভেতরে অবস্থান নিয়ে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। অন্য মুসল্লিরা ইটপাটকেলের আঘাতে আহত হন, ছত্রভঙ্গ হয়ে চলে যান। পুলিশের ওপরও তারা চড়াও হন। আইনশৃঙ্খলার অবনতি যাতে না হয়, এ জন্য রাবার বুলেট, টিয়ার শেল ছুড়ে পরিস্থিতি আনার চেষ্টা করা হয়।

দেশ রূপান্তর

সেন্সরশিপের খড়গ

স্বাধীন বাংলাদেশে চলচ্চিত্র, টিভি নাটক, মঞ্চ নাটকের উপর বিভিন্ন সময় সরকারি ও বেসরকারি সেন্সরশিপের তথ্য উপাত্ত দেখতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন।

বিস্তারিত

লেখার জন্য কারাবন্দী

ফেসবুকে লেখালেখির জন্য জেলে আছেন প্রচুর মানুষ। বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আজীবনের জন্য পঙ্গু হয়েছেন, আছেন এমন মানুষও। তাদের সম্পর্কে জানুন।
বিস্তারিত

বিচারহীনতার বাংলাদেশ

বিচার হচ্ছে না নিকট অতীতের কয়েকশ চাঞ্চল্যকর মামলার। যেসব মামলার সম্ভাব্য আসামী প্রভাবশালী রাজনীতিক অথবা ব্যবসায়ী অথবা ক্ষমতার কাছাকাছি থাকা কেউ।

বিস্তারিত

এখন কী অবস্থায় আছে?

ধর্মানুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে ডজনখানেক গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছিলো। সেসব গ্রাম, গ্রামের মানুষেরা এখন কেমন আছেন?
বিস্তারিত