বাংলাদেশে পর্নোগ্রাফির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার ঘোষণা দিয়ে প্রায় ২০ হাজার পর্নো ওয়েবসাইট বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ২১ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এই তথ্য জানান।
এর আগে দেশের ইন্টারনেট সংযোগ প্রদানকারীরা পর্নো ও জুয়ার ওয়েবসাইটগুলো বন্ধ করে দেয়। এ বিষয়ে বার্তা সংস্থা এএফপিকে মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমি শিশুসহ সকল বাংলাদেশির জন্য একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত ইন্টারনেট নিশ্চিত করতে চাই। আর এটিই পর্নোগ্রাফির বিরুদ্ধে আমার যুদ্ধ।
দেশের কর্তৃপক্ষ মনে করেন যে বিখ্যাত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটক ও বিগোরও অপব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে এই অ্যাপ দুটিও বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। মোস্তাফা জব্বার জানিয়েছেন, বন্ধ হয়ে যাওয়া সাইটগুলোর মধ্যে বেশির ভাগই বিদেশি। তবে অল্প কিছু বাংলাদেশি সাইটও রয়েছে এরমধ্যে। গত বছরের নভেম্বরে হাইকোর্ট বাংলাদেশ সরকারকে পর্নো সাইট ও অশ্লীল কন্টেন্ট প্রকাশ করা সাইটগুলোকে বন্ধের নির্দেশ দেন। এর প্রেক্ষিতেই পর্নো ওয়েবসাইটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে সরকার।
১৯ ফেব্রুয়ারি রোববার পুলিশ একজন নতুন অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। জিজ্ঞাসাবাদে তাকে ফেসবুক, ইনস্ট্রাগ্রাম ও টিকটক থেকে তার ‘উত্তেজক’ ছবি মুছে ফেলতে বলা হয়। মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমরা ফেসবুক প্রফাইল, ইউটিউব চ্যানেল ও ওয়েবসাইটগুলোকে পর্যবেক্ষণ করছি। ইতিমধ্যে এর মধ্যে কয়েকটিকে অশ্লীল কন্টেন্ট প্রকাশ করায় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে আমরা আরো কয়েকজনকে এ ধরনের পোস্ট না করতে আহ্বান জানিয়েছি।
উল্লেখ্য, প্রায় সাড়ে ১৬ কোটি মানুষের দেশ বাংলাদেশ। এরমধ্যে ৯ কোটিরও বেশি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে।
বাংলাদেশের ইন্টারনেট সংযোগ প্রদানকারীদের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক জানান, তারা নির্দেশমতো ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। কিন্তু অনেকেই ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক বা ভিপিএন দিয়ে এখনো পর্নো সাইটে প্রবেশ করতে পারছেন। এ ছাড়া মিরর ওয়েবসাইটের কথাও বলেন তিনি। বলেন, এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং নিয়মিত এর পর্যবেক্ষণ জরুরি। এই ওয়েবসাইটগুলো ভালোভাবেই এই কড়াকড়ি সম্পর্কে অবগত। তাই তারা প্রতি সপ্তাহেই হাজার হাজার মিরর সাইট তৈরি করছে।