নলছিটিতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাংবাদিক কারাগারে

ঝালকাঠির নলছিটিতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় স্থানীয় সাংবাদিক খলিলুর রহমানকে (৪৮) কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ১১ মে মঙ্গলবার সকালে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

 

 

এর আগে ১০ মে সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলা শহরের সবুজবাগ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন খলিলুর।

সাংবাদিক খলিলুরকে গ্রেপ্তারের আগে রাতেই নলছিটি থানায় মামলা করেন পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম। মামলায় পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিলর ও উপসহকারী প্রকৌশলীকে নিয়ে ফেসবুকে মানহানিকর মন্তব্য করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

খলিলুর জাতীয় দৈনিক জনতা ও আঞ্চলিক দৈনিক সময়ের বার্তার নলছিটি উপজেলা প্রতিনিধি। এ ছাড়া তিনি নলছিটি উপজেলা সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সভাপতি। তাঁর বাড়ি উপজেলার গৌরীপাশা এলাকায়।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ৯ মে খলিলুর তাঁর ফেসবুক আইডি থেকে নলছিটি পৌরসভার মেয়র ওয়াহেদ খান, উপসহকারী প্রকৌশলী আবু সায়েমের ছবি ও কাউন্সিলর শহিদুল ইসলামের নাম উল্লেখ করে মানহানিকর একাধিক লেখা পোস্ট করেন।

খলিলুরের পরিবার জানায়, গত ৩০ ডিসেম্বর নলছিটি পৌরসভা নির্বাচনে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন খলিলুর। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা নিয়ে শহিদুল ইসলামের তাঁর বিরোধ চলছিল। এর জেরেই ‘ষড়যন্ত্রমূলক’ মামলা করা হয়েছে।

এদিকে, খলিলুরকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে মুক্তি দাবি করেছেন জেলার সাংবাদিকেরা। মুক্তি দাবি করেছেন সুজনের ঝালকাঠি জেলা শাখার নেতারাও।

নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহম্মেদ বলেন, পৌর কাউন্সিলর শহিদুল ইসলামের মামলার পর গতকাল রাতে ঝালকাঠি শহরের সবুজবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে খলিলুরকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ সকালে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

প্রথম আলো

সেন্সরশিপের খড়গ

স্বাধীন বাংলাদেশে চলচ্চিত্র, টিভি নাটক, মঞ্চ নাটকের উপর বিভিন্ন সময় সরকারি ও বেসরকারি সেন্সরশিপের তথ্য উপাত্ত দেখতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন।

বিস্তারিত

লেখার জন্য কারাবন্দী

ফেসবুকে লেখালেখির জন্য জেলে আছেন প্রচুর মানুষ। বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আজীবনের জন্য পঙ্গু হয়েছেন, আছেন এমন মানুষও। তাদের সম্পর্কে জানুন।
বিস্তারিত

বিচারহীনতার বাংলাদেশ

বিচার হচ্ছে না নিকট অতীতের কয়েকশ চাঞ্চল্যকর মামলার। যেসব মামলার সম্ভাব্য আসামী প্রভাবশালী রাজনীতিক অথবা ব্যবসায়ী অথবা ক্ষমতার কাছাকাছি থাকা কেউ।

বিস্তারিত

এখন কী অবস্থায় আছে?

ধর্মানুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে ডজনখানেক গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছিলো। সেসব গ্রাম, গ্রামের মানুষেরা এখন কেমন আছেন?
বিস্তারিত