অনলাইন কলিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজির আহমেদসহ বাহিনীটির একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার পরিচয় ও ছবি ব্যবহার করে প্রতারণার অভিযোগে নওগাঁর এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার নাম আমিরুল ইসলাম।
রবিবার (২২ আগস্ট) বিকেলে সদর উপজেলার খাগড়া গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আমিরুলকে। তার বাড়ি ওই গ্রামেই।
এক প্রেসব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়া।
তিনি বলেন, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজির সরকারি ফোন নম্বর দিয়ে খোলা হোয়াটসঅ্যাপ আইডিতে আইজিপির ইউনিফর্ম পরা ছবিযুক্ত একটি হোয়াটসঅ্যাপ থেকে “হাই” মেসেজ আসে। কিন্তু, মোবাইল ফোনে সেভ করা আইজিপির নম্বরের সঙ্গে এই নম্বরের কোনো মিল না থাকায় সন্দেহ হয় ডিআইজির। নিশ্চিত হওয়ার তিনি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরটিতে কল করেন। কিন্তু কেউ রিভিস করে না। পরে বিষয়টি আইজিপিকে জানানো হলে তিনি ওই হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর ব্যবহারকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
এসপি বলেন, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে নির্দেশনা পেয়ে জেলা পুলিশের সাইবার টিমের সভাপতি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমানের নেতৃত্বে সাইবার টিমের সদস্যরা ওই নম্বর ব্যবহারকারীর পরিচয় শনাক্ত করে তাকে আটক করে ও ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি জব্দ করে।
অভিযুক্তকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার জানান, প্রায় ১০ থেকে ১২দিন আগে সে নিজের হোয়াটসঅ্যাপ আইডিতে আইজিপির ইউনিফর্ম পরা ছবি এবং নাম বসায়। এরপর পুলিশের বিভিন্ন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে মেসেজ পাঠায়। পরে এসব মেসেজের স্কিনশট দেখিয়ে বিভিন্ন মানুষের কাছে বলে বেড়াতো যে, তার সঙ্গে বড় বড় অফিসারদের সম্পর্ক আছে। পাশাপাশি পুলিশ অফিসারদের ছবি ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা ও এলাকায় প্রাধান্য বিস্তারের চেষ্টা করত। এমনকি এলাকার মানুষের সাথে খারাপ আচরণ এবং মারামারি করত সে।
তিনি আরও বলেন, এসবের মাধ্যমে সে অবৈধ সুবিধা নিয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া গেছে। তবে সে কারও কাছ আর্থিক লেনদেন বা সুবিধা লাভ করছে কি-না তা জানতে সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে। তার বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করা হয়েছে।