তিন বছর আগে কটূক্তির অভিযোগ, সিলেটে ডিজিটাল আইনে সুইডেনপ্রবাসী গ্রেপ্তার

তিন বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে পোস্ট করেছিলেন সুইডেনপ্রবাসী খালেদ কুদ্দুস শিকদার ওরফে আবু সায়েম (৪০)।

তিনি সিলেটের জকিগঞ্জের সুলতানপুরের ইলাবাজ গ্রামের ইব্রাহিম আলীর ছেলে। সম্প্রতি সুইডেন থেকে দেশে ফিরেছেন তিনি। ওই পোস্টের ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়েরের পর ২৯ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে সিলেট শহরতলির মেজরটিলা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৯।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদ কুদ্দুস শিকদার তাঁর ব্যবহৃত ফেসবুক আইডি থেকে জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে আপত্তিকর ও বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করেন। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে জকিগঞ্জ পৌর কৃষক লীগ শাখার সভাপতি কামরুল ইসলাম ফারুকী বাদী হয়ে জকিগঞ্জ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন।

র‌্যাব-৯-এর সুনামগঞ্জ ক্যাম্পের সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ রাসেল জানান, মামলা দায়েরের পরপরই বৃহস্পতিবার রাতে র‍্যাব তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় সিলেট শহরতলির মেজরটিলা এলাকার একটি বাসা থেকে খালেদ কুদ্দুস শিকদারকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁকে জকিগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়।

জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কাসেম প্রথম আলোকে জানান, বৃহস্পতিবার রাতে কৃষক লীগ জকিগঞ্জ পৌর শাখার সভাপতি কামরুল ইসলাম বাদী হয়ে সুইডেন থেকে আসা প্রবাসী খালেদ কুদ্দুস শিকদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। পরে অভিযোগটি ৩০ এপ্রিল ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়। ওই মামলায় র‍্যাব তাঁকে গ্রেপ্তার করে আজ শুক্রবার সকালে জকিগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে।

ওসি আরও জানান, গ্রেপ্তার আসামিকে শুক্রবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

প্রথম আলো

সেন্সরশিপের খড়গ

স্বাধীন বাংলাদেশে চলচ্চিত্র, টিভি নাটক, মঞ্চ নাটকের উপর বিভিন্ন সময় সরকারি ও বেসরকারি সেন্সরশিপের তথ্য উপাত্ত দেখতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন।

বিস্তারিত

লেখার জন্য কারাবন্দী

ফেসবুকে লেখালেখির জন্য জেলে আছেন প্রচুর মানুষ। বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আজীবনের জন্য পঙ্গু হয়েছেন, আছেন এমন মানুষও। তাদের সম্পর্কে জানুন।
বিস্তারিত

বিচারহীনতার বাংলাদেশ

বিচার হচ্ছে না নিকট অতীতের কয়েকশ চাঞ্চল্যকর মামলার। যেসব মামলার সম্ভাব্য আসামী প্রভাবশালী রাজনীতিক অথবা ব্যবসায়ী অথবা ক্ষমতার কাছাকাছি থাকা কেউ।

বিস্তারিত

এখন কী অবস্থায় আছে?

ধর্মানুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে ডজনখানেক গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছিলো। সেসব গ্রাম, গ্রামের মানুষেরা এখন কেমন আছেন?
বিস্তারিত