ঢাকা থেকে নিখোঁজ সাংবাদিককে আহত অবস্থায় পাওয়া গেল আশুলিয়ায়

সিয়ামের বরাত দিয়ে আরিফুল জানান, বৃহস্পতিবার সকালে তিনি সাভারে যাওয়ার জন্য আমিনবাজার সেতু ধরে হাঁটছিলেন। একপর্যায়ে পাঁচ-ছয় ব্যক্তি তাঁকে একটি গাড়িতে তুলে নেন এবং তাঁর হাত–পা বেঁধে ফেলেন। বৃহস্পতি ও শুক্রবার সারাক্ষণ গাড়িতে ঘুরিয়ে সন্ধ্যার দিকে তাঁকে ওই জায়গায় হাত–পা বেঁধে ফেলে যান। তাঁরা সিয়ামকে হুমকি দিয়ে বলেন, ১০ মিনিট এখানেই থাকতে হবে এবং চিৎকার করলে গুলি করে মারা হবে। এরপর অপহরণকারীরা চলে যায়। তাঁরা সিয়ামের কাছ থেকে টাকা, দুটো মুঠোফোন ছিনিয়ে নিয়ে যান। তাঁকে কেন অপহরণ করা হয়েছিল, তা তিনি জানেন না। অপহরণকারী কাউকেই তিনি চেনেন না। তবে তাঁদের একজন চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলেন।

সিয়ামকে উদ্ধারের পর ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে ঢাকার পান্থপথের একটি বেসরকারি হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বনানীর বাসা থেকে বেরিয়ে নাখালপাড়ায় বোনের বাসায় যান সিয়াম। সেখান থেকে বেরোনোর পর নিখোঁজ হন তিনি। শুক্রবার দুপুরে তাঁর স্ত্রী শারমিন সুলতানা তেজগাঁও থানায় নিখোঁজ–সংক্রান্ত একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। তেজগাঁও থানার পুলিশ জানায়, বাসা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সিয়াম ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিলেন, ‘পৃথিবীটা ভীষণ সুন্দর। আর মানুষও। সবাইকে সালাম। ভালো থাকবেন।’

আরিফুল বলেন, সিয়াম পারিবারিক মনোমালিন্য হওয়ার পর বাসা থেকে বেরিয়েছিলেন।

ঢাকার তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মককর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন মিয়া  বলেন, সিয়ামের কাছ থেকে ঘটনা শুনেছেন। সিয়াম ঢাকায় পৌঁছানোর পর এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রথম আলো