ঠাকুরগাঁওয়ে তিন সাংবাদিককে হত্যার হুমকি যুবলীগ নেতার

ঠাকুরগাঁওয়ে তিন সাংবাদিকের পিঠের চামড়া তুলে হত্যার হুমকি দিয়েছেন এক যুবলীগ নেতা ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর। শুক্রবার (০১ অক্টোবর) রাতে এ ঘটনায় ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন সাংবাদিকরা।

 

শুক্রবার রাতে সংবাদ সংগ্রহকালে তাদের (তিন সাংবাদিক) এই হুমকির সম্মুখীন হতে হয়। হুমকির শিকার তিন সাংবাদিক হলেন, ঠাকুরগাঁও জেলায় কর্মরত ইত্তেফাকের প্রতিনিধি তানভীর হাসান তানু, রাইজিংবিডির প্রতিনিধি মঈনুদ্দীন তালুকদার হিমেল ও স্থানীয় পত্রিকা লোকায়নের নিজস্ব প্রতিবেদক সোহেল রানা।

জানা যায়, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়ন পরিষদে শুক্রবার সন্ধ্যায় একটি সংবাদের তথ্য সংগ্রহে যান এই তিন সাংবাদিক। তথ্য ছিলো যে, অবৈধ কিছু সংখ্যক বিড়ির বস্তা জব্দ করা ও এ বিষয়ে নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ও স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির অস্বচ্ছতার রয়েছে। ঘটনাস্থলে এর সত্যতা পেয়ে সেই অবৈধ মালামালের মালিক জতীশ ও নুকুলের সাক্ষাৎকার নিতে তার বাসায় যান তারা। তবে অভিযুক্তরা বাসায় না থাকায় ফিরে যান সাংবাদিকরা। ফেরার পথে নুকুলের নম্বর থেকে সাংবাদিক সোহেল রানার মোবাইল ফোনে কল আসে এবং নুকুল একজনের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। ওই ব্যক্তি মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আমি ঠাকুরগাঁও পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর জামিরুল ইসলাম বলছি, আমার এলাকায় কী কাজে গিয়েছেন? বেশি বারাবারি করবেন না।’ এমন কথা বলার পর তিনি সাংবাদিকদের গায়ের চামরা ছিলে ফেলার কথা বলেন এবং সাংবাদিকদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন এবং নানা রকম হুমকিসহ হত্যার হুমকি দেন।

জামেরুল ইসলাম জেলা সদরের শান্তিনগরে এলাকার বাসিন্দা। তিনি ঠাকুরগাঁও জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঠাকুরগাঁও সদর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।

এই বিষয়ে অভিযুক্ত জামিরুল ইসলামেরর কাছে হত্যার হুমকির বিয়ষটি জানতে চাইলে বিয়ষটি এড়িয়ে গিয়ে ফোনটি কেটে দেন।

হুমকির একটি অডিও রেকর্ড আছে জানিয়ে তিন সাংবাদিক বলেন, আমাদের কাছে। এমন হুমকির পর আমরা মনে করছি, স্বাধীন সাংবাদিকতায় তিনি ক্ষমতার দাপটে বাধা সৃষ্টি করেছেন। এমতাবস্থায় আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগিছি।

ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তানভীরুল ইসলাম জানান, সাংবাদিকদের হত্যার হুমকির বিয়ষটি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এই ঘটনা জেলার সচেতন জনসাধারণ জানার পর থেকেই নিন্দার ঝড় উঠে। অনেকে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে নিন্দা জানিয়েছে।

ইত্তেফাক

সেন্সরশিপের খড়গ

স্বাধীন বাংলাদেশে চলচ্চিত্র, টিভি নাটক, মঞ্চ নাটকের উপর বিভিন্ন সময় সরকারি ও বেসরকারি সেন্সরশিপের তথ্য উপাত্ত দেখতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন।

বিস্তারিত

লেখার জন্য কারাবন্দী

ফেসবুকে লেখালেখির জন্য জেলে আছেন প্রচুর মানুষ। বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আজীবনের জন্য পঙ্গু হয়েছেন, আছেন এমন মানুষও। তাদের সম্পর্কে জানুন।
বিস্তারিত

বিচারহীনতার বাংলাদেশ

বিচার হচ্ছে না নিকট অতীতের কয়েকশ চাঞ্চল্যকর মামলার। যেসব মামলার সম্ভাব্য আসামী প্রভাবশালী রাজনীতিক অথবা ব্যবসায়ী অথবা ক্ষমতার কাছাকাছি থাকা কেউ।

বিস্তারিত

এখন কী অবস্থায় আছে?

ধর্মানুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে ডজনখানেক গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছিলো। সেসব গ্রাম, গ্রামের মানুষেরা এখন কেমন আছেন?
বিস্তারিত