ঝিনাইদহে মাংস বণ্টনে অনিয়মের প্রতিবাদ করায় সাংবাদিকের ওপর হামলা

কোরবানির মাংসে গরিব-অসহায়দের জন্য নির্ধারিত অংশ বণ্টনে মেম্বারের অনিয়মের প্রতিবাদ করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এইচ এম ইমরান হোসেনের ওপর হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা।

 

শনিবার সন্ধ্যায় ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানার অন্তর্গত বাঁশবাড়ি ইউনিয়নের গাড়াপোতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত মেম্বারের নাম আজিজুর রহমান। তিনি বাঁশবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাঁশবাড়ি ইউনিয়নে গাড়াপোতা গ্রামবাসী কোরবানি শেষে গরিবদের অংশ একটি নির্দিষ্ট জায়গায় জমা করে। এসব মাংস বিতরণের দায়িত্ব পালন করেন স্থানীয় মেম্বার আজিজুর রহমান।

সন্ধ্যা সাতটার দিকে স্থানীয়দের দেওয়া ২০ কেজি মাংস বিতরণ না করে মেম্বার নিজের জন্য রেখে দেয়। মেম্বার রেখে দেওয়া মাংস তার পারিশ্রমিক হিসেবে উল্লেখ করে। তখন স্থানীয় বাসিন্দা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এইচ এম ইমরান হোসেন এই ঘটনার প্রতিবাদ করলে মেম্বারও সন্ত্রাসী দিয়ে হামলা চালায়।

এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ইমরানের বাবা ও ছোট ভাইয়ের ওপর হামলা করলে তারা আহত হয়। আহত সবাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

আহত এইচ এম ইমরান হোসেন বলেন, কোরবানি শেষে গরিবদের অংশ আমাদের গ্রামের সবাই একটি নির্দিষ্ট জায়গায় জমা করে। বিকেলের দিকে সেগুলো বিতরণ শুরু করে। সন্ধ্যা সাতটার দিকে দেখা যায় মেম্বার মিসকিনদের অংশ থেকে ২০ কেজি মাংস বণ্টন না করে নিজের জন্য রেখে দেয়।

‘তারপর আমি এগুলো পুনরায় মিসকিনদের মাঝে বিতরণের জন্য বললে আজিজ মেম্বারের ছেলে ও তার সন্ত্রাসীরা আমার ওপর হামলা করে। আমার বাবা ও ছোট ভাই এগিয়ে আসলে তখন তাদের ওপরও হামলা করে’।

অভিযুক্ত মেম্বার আজিজুর রহমান বলেন, মাংস বণ্টনে আমি কোনো অনিয়ম করিনি। আমি ও আমার ছেলে সবাই নির্দোষ। বরং তারা আমাদেরকে লাঞ্ছিত করেছে।

জাগো নিউজ

সেন্সরশিপের খড়গ

স্বাধীন বাংলাদেশে চলচ্চিত্র, টিভি নাটক, মঞ্চ নাটকের উপর বিভিন্ন সময় সরকারি ও বেসরকারি সেন্সরশিপের তথ্য উপাত্ত দেখতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন।

বিস্তারিত

লেখার জন্য কারাবন্দী

ফেসবুকে লেখালেখির জন্য জেলে আছেন প্রচুর মানুষ। বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আজীবনের জন্য পঙ্গু হয়েছেন, আছেন এমন মানুষও। তাদের সম্পর্কে জানুন।
বিস্তারিত

বিচারহীনতার বাংলাদেশ

বিচার হচ্ছে না নিকট অতীতের কয়েকশ চাঞ্চল্যকর মামলার। যেসব মামলার সম্ভাব্য আসামী প্রভাবশালী রাজনীতিক অথবা ব্যবসায়ী অথবা ক্ষমতার কাছাকাছি থাকা কেউ।

বিস্তারিত

এখন কী অবস্থায় আছে?

ধর্মানুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে ডজনখানেক গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছিলো। সেসব গ্রাম, গ্রামের মানুষেরা এখন কেমন আছেন?
বিস্তারিত