ঝালকাঠিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব রটানোর অভিযোগে ডিজিটাল আইনে গ্রেফতার ১

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও ইউটিউবে রাষ্ট্রবিরোধী ও ধর্মীয় উস্কানিমূলক গুজব রটিয়ে আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর চেষ্টার অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ।

 

গ্রেফতারকৃতের নাম মো. শফিকুল ইসলাম ওরফে শাফী।

বুধবার (২৮ জুলাই) ১২টা ৫ মিনিটে ঝালকাঠি সদরে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করে সিটি সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের ইন্টারনেট রেফারেল টিম।

প্রযুক্তির সহায়তায় উক্ত পেজ ও চ্যানেল পরিচালনাকারী শফিকুল ইসলামকে শনাক্ত করে ঝালকাঠি সদর এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে ইউটিউব চ্যানেল এবং ফেসবুক পেজ ‘শান্তির আহ্বান’ লগড ইন অবস্থায় একটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। উক্ত ইউটিউব চ্যানেলে সংশ্লিষ্ট ভিডিওসহ একই রকম প্রায় পাঁচ শতাধিক ভিডিও পাওয়া যায়।

সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বেশ কিছু দিন থেকে ‘শান্তির আহবান’ নামক একটি ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজ থেকে হাদিস অস্বীকার ও অপব্যাখ্যা করে ধর্ম অবমাননাকর ভিডিও শেয়ার করা হচ্ছে বলে সাইবার পেট্রোলিং’র মাধ্যমে জানা যায়। তা ছাড়াও উক্ত চ্যানেলে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় সংসদে প্রদত্ত বক্তব্যের খণ্ডচিত্র বিকৃতভাবে উপস্থাপনের মাধ্যমে ধর্মীয় উস্কানি প্রদান করা হয়। সাম্প্রতিক সময়ের বিভিন্ন আলোচিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে, বিভিন্ন মিথ্যা বক্তব্যের ভিডিও ও ছবি যুক্ত করে নতুন ভিডিও প্রস্তুত করে এ ইউটিউব চ্যানেলটিতে আপলোড করা হয়। এসকল ভিডিওতে ধর্ম, রাষ্ট্র, সরকার বিরোধী নানা প্রকার আক্রমণাত্মক, মিথ্যা, মানহানিকর ও ধর্মীয় উস্কানীমূলক গুজব রটিয়ে দেশের আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে সূত্র জানায়, গ্রেফতারকৃত শফিকুল ‘শান্তির আহ্বান’ নামক ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে অর্থ আয়ের উদ্দেশ্যে উক্ত মনগড়া ও উস্কানীমূলক গুজব রটানোর ভিডিও গুলো ধারণ, সম্পাদনা ও প্রচার করতো।

গ্রেফতারকৃতের বিরুদ্ধে রমনা মডেল থানার মামলায় রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

বাংলা ট্রিবিউন

সেন্সরশিপের খড়গ

স্বাধীন বাংলাদেশে চলচ্চিত্র, টিভি নাটক, মঞ্চ নাটকের উপর বিভিন্ন সময় সরকারি ও বেসরকারি সেন্সরশিপের তথ্য উপাত্ত দেখতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন।

বিস্তারিত

লেখার জন্য কারাবন্দী

ফেসবুকে লেখালেখির জন্য জেলে আছেন প্রচুর মানুষ। বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আজীবনের জন্য পঙ্গু হয়েছেন, আছেন এমন মানুষও। তাদের সম্পর্কে জানুন।
বিস্তারিত

বিচারহীনতার বাংলাদেশ

বিচার হচ্ছে না নিকট অতীতের কয়েকশ চাঞ্চল্যকর মামলার। যেসব মামলার সম্ভাব্য আসামী প্রভাবশালী রাজনীতিক অথবা ব্যবসায়ী অথবা ক্ষমতার কাছাকাছি থাকা কেউ।

বিস্তারিত

এখন কী অবস্থায় আছে?

ধর্মানুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে ডজনখানেক গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছিলো। সেসব গ্রাম, গ্রামের মানুষেরা এখন কেমন আছেন?
বিস্তারিত