ফেইসবুকে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ থানার ওসির বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান বলেন, ৩০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাতে ফরিদগঞ্জ থেকে রুবেল (২৫) ও বাপ্পি (২৪) নামের ওই দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি বলেন, “ফেইসবুকে ‘জারিন আফরিন রুমা’ নামে একটি ফেইক আইডি খুলে ফরিদগঞ্জ থানার ওসির নামে অপপ্রচার করেছিল এই দুইজন।”
তাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।
সদর দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘জারিন আফরিন রুমা’ নামের ফেইসবুক অ্যাকাউন্টে গত ২৯ এপ্রিল ভোর ৪টা ০৭ মিনিটে একটি পোস্ট দিয়ে বলা হয়- ‘ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ত্রাণ দেওয়ার কথা বলে এক তরুণীকে ধর্ষণ করেছেন’।
পোস্টটি নজরে আসার সাথে সাথেই তদন্তে নামে চাঁদপুর জেলা পুলিশ ও বাংলাদেশ পুলিশের সাইবার টিম। পুলিশের তৎপরতা আাঁচ করতে পেরে ওই অ্যাকাউন্ট থেকে তড়িঘড়ি দোষ স্বীকার এবং ক্ষমা প্রার্থনা করে আরেকটি পোস্ট দেওয়া হয়।
সেই পোস্টে বলা হয়, করোনাভাইরাস মহামারীর সময়ে বাংলাদেশ পুলিশের চমলান মানবিক কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এবং গুজব রটানোর উদ্দেশে স্থানীয় এক ব্যক্তির প্ররোচনায় প্রথম পোস্টটি করা হয়েছিল।
ফরিদগঞ্জের ওসি সম্পর্কে প্রথম পোস্টে যা লেখা হয়েছে, আসলে তেমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি বলে দাবি করা হয়।
উল্লিখিত স্থানীয় ওই ব্যক্তির প্ররোচনায় ইন্টারনেট থেকে তিনি অচেনা একটি মেয়ের ছবি ডাউনলোড করে পোস্টে জুড়ে দেওয়া হয়েছিল বলেও দ্বিতীয় পোস্টে স্বীকার করা হয়।
পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে মিথ্যা তথ্য কিংবা গুজব ছড়ানো আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এছাড়া এর মাধ্যমে একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে সামাজিকভাবে বিতর্কিত করে তার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সুনাম নষ্ট করা হয়েছে। করোনাভাইরাসের গুরুত্বপূর্ণ এ সময়ে জনগণের জন্য পুলিশের সেবাধর্মী কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করারও প্রয়াস এটি।
গুজব রটিয়ে ও মিথ্যাচার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করা ও জনস্বার্থবিরোধী যেকোনো কাজের ক্ষেত্রে পুলিশের কঠোর অবস্থান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।