কক্সবাজারে শ্বাসরোধে হত্যাচেষ্টা, সাংবাদিক সুজাউদ্দিন রুবেলকে মৃত ভেবে ফেলে গেল দুর্বৃত্তরা

সময় টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার সুজাউদ্দিন রুবেলকে (৩০) শ্বাসরোধ করে হত্যাচেষ্টা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তাকে মৃত ভেবে রাস্তার পাশে ফেলে যায় তারা। এতে প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন তিনি। তাকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার পর একটু সুস্থ বোধ করলে রাতেই বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়।

 

শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১২ টার দিকে কক্সবাজার পুলিশ সুপার কার্যালয় লাগোয়া জেলা পরিষদ মার্কেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় তার ব্যবহৃত আইফোনসহ দুটি মুঠোফোন নিয়ে গেলেও পকেটে থাকা নগদ টাকা নিয়ে যায়নি দুর্বৃত্তরা।

সুজাউদ্দিন রুবেল সময় টিভির পাশাপাশি স্থানীয় দৈনিক কক্সবাজারের প্রধান মেকআপ ম্যান ও স্টাফ রিপোর্টার হয়ে কাজ করেন।

বিপদাপন্ন রুবেল জানান, দৈনিক কক্সবাজার পত্রিকায় কাজ শেষ করে শনিবার রাত সোয়া ১২টার দিকে অফিস থেকে বেরিয়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। এসপি অফিস ও জেলা পরিষদের মাঝ দিয়ে চলা রাস্তায় জেলা পরিষদ মার্কেটের সামনে এলে হঠাৎ একজন দুর্বৃত্ত পেছন থেকে গলা টিপে ধরে। এক পর্যায়ে শ্বাস বন্ধ হয়ে তিনি (রুবেল) মাটিতে ঢলে পড়লে দুর্বৃত্তরা তাকে ফেলে পালিয়ে যায়। এরপর তিনি আর কিছু জানেন না।

মোহাম্মদ ঈসমাইল নামে এক পথচারী বলেন, আমরা কয়েকজন জেলা পরিষদের পশ্চিম পাশে প্রেসক্লাবের সামনের দোকানে চা খাচ্ছিলাম। ওই সময় তিনজন যুবককে হঠাৎ পালিয়ে যেতে দেখা যায়। একইসঙ্গে একটি অটোরিকশাও যেতে দেখা যায়। এরপর কিছু দূরে দেখা যায় একজন ব্যক্তি মাটিতে পড়ে রয়েছেন। পরে তাকে উদ্ধার করে ককক্সবাজার সদর মডেল থানায় নিয়ে যাই। এরপর কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, তাকে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে। গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

আহত সাংবাদিক রুবেল জানান, মাটিতে ঢলে পড়ার আগে জ্ঞান থাকা অবস্থায় মনে হয়েছে অটোরিকশা চালকসহ দুর্বৃত্তরা চারজন ছিলেন। ধস্তাধস্তি করা দুর্বৃত্ত সুঠাম দেহি বা নিয়মিত ব্যায়াম করা বলে মনে হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, তার পকেটে টাকা ছিল। কিন্তু দুর্বৃত্তরা টাকা নিয়ে যায়নি। তবে আইফোনসহ দুটি মোবাইল নিয়ে গেছে।

কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও দৈনিক কক্সবাজার পত্রিকার বার্তা সম্পাদক মোহাম্মদ নজিবুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিক রুবেলকে কে হত্যা করতে চেয়েছিল? রাত সাড়ে ১২টায় জেলা পরিষদ গেইট সংলগ্ন স্থানটি পুলিশ সুপার কার্যালয় এবং প্রেস ক্লাবের ১৫ গজের ব্যবধান। দৈনিক কক্সবাজার পত্রিকা অফিস ১৫০ গজে। ঘটনাস্থলের আশপাশে মানুষের আনাগোনা ছিল। ছিনতাইকারী এই স্থানে কেন ছিনতাই করবে? হামলার ৩০ মিনিট পরও ছিনিয়ে নেয়া মোবাইল খোলা ছিল। মাদকাসক্তরা সুঠাম দেহের হয় না। সব মিলালে ঘটনাটি রহস্যজনক বলে মনে হয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুর্বৃত্তরা গ্রেফতার না হলে, নিরাপত্তাহীনতার কারণে কক্সবাজারের সকল সাংবাদিক কর্মবিরত থাকার এবং সকল সংবাদপত্র বন্ধ রাখার কর্মসূচি ঘোষণা করার অনুরোধ জানান তিনি।

একইভাবে দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন কক্সবাজার সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সায়ীদ আলমগীর।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুম খান বলেন, দুর্বত্তদের ধরতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।

জাগো নিউজ

সেন্সরশিপের খড়গ

স্বাধীন বাংলাদেশে চলচ্চিত্র, টিভি নাটক, মঞ্চ নাটকের উপর বিভিন্ন সময় সরকারি ও বেসরকারি সেন্সরশিপের তথ্য উপাত্ত দেখতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন।

বিস্তারিত

লেখার জন্য কারাবন্দী

ফেসবুকে লেখালেখির জন্য জেলে আছেন প্রচুর মানুষ। বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আজীবনের জন্য পঙ্গু হয়েছেন, আছেন এমন মানুষও। তাদের সম্পর্কে জানুন।
বিস্তারিত

বিচারহীনতার বাংলাদেশ

বিচার হচ্ছে না নিকট অতীতের কয়েকশ চাঞ্চল্যকর মামলার। যেসব মামলার সম্ভাব্য আসামী প্রভাবশালী রাজনীতিক অথবা ব্যবসায়ী অথবা ক্ষমতার কাছাকাছি থাকা কেউ।

বিস্তারিত

এখন কী অবস্থায় আছে?

ধর্মানুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে ডজনখানেক গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছিলো। সেসব গ্রাম, গ্রামের মানুষেরা এখন কেমন আছেন?
বিস্তারিত