আব্দুল মান্নান সৈয়দের ‘সত্যের মতো বদমাশ’ নিষিদ্ধ

বইয়ের নামঃ ‘সত্যের মতো বদমাশ’ (১৯৬৮)

লেখকঃ আব্দুল মান্নান সৈয়দ

প্রথম প্রকাশঃ নভেম্বর ১৯৬৮, কার্তিক ১৩৭৫

বইয়ের ধরণ/ ক্যাটাগরিঃ গল্পগ্রন্থ।

নিষেধাজ্ঞাঃ ১৯৬৮ সালের নভেম্বর মাসে প্রকাশের পরপরই পাকিস্তান সরকার কর্তৃক ‘সত্যের মতো বদমাশ’ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। কারণ হিসেবে দেখানো হয়-অশ্লীলতা। বইটির বান্দা গল্পে যৌনপ্রত্যঙ্গসংক্রান্ত গালিসহ খোলামেলা অনেক কথা রয়েছে। দণ্ডিত খেলোয়াড়ের বিষয়বস্তুও হয়তো তাদের চোখে ‘অশ্লীল লেগেছিল নাকি ‘সত্যের মতো বদমাশ’ এ নামটিই তাদের মনে ভীতির সঞ্চার করেছিল? চরিত্রপাত্রের মনোবিশ্লেষণে দস্তয়েস্কির অনুবর্তী হলেও শব্দ ব্যবহারের শুচিবায়ুগ্রস্তহীনতার দিক থেকে তিনি অনেকটাই ডি. এইচ. লরেন্সের নিকটবর্তী। বাংলাদেশে অদ্যবধি ‘সত্যের মতো বদমাশ’-ই একমাত্র নিষিদ্ধ হওয়া গল্পগ্রন্থ।

 

পুনর্মুক্তিঃ

বইটির পুনর্মুক্তিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন লেখকের বন্ধু অধ্যাপক আতাউর রহমান খান। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালের প্রথম দিকে এক সাংসদকে তিনি বইটির ওপর নিষিদ্ধাদেশ তুলে নেয়ার ঘোষণা দেওয়ার জন্য রাজি করান। ঢাকা স্টেডিয়ামের নিচতলায় ‘প্যাপিরাসের সামনে বিভিন্ন লেখকের উপস্থিতিতে বইটির ওপর নিষিদ্ধাদেশ তুলে নেয়ার ঘোষণা পাঠ করেন সেই সাংসদ স্বয়ং।

সেন্সরশিপের খড়গ

স্বাধীন বাংলাদেশে চলচ্চিত্র, টিভি নাটক, মঞ্চ নাটকের উপর বিভিন্ন সময় সরকারি ও বেসরকারি সেন্সরশিপের তথ্য উপাত্ত দেখতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন।

বিস্তারিত

লেখার জন্য কারাবন্দী

ফেসবুকে লেখালেখির জন্য জেলে আছেন প্রচুর মানুষ। বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আজীবনের জন্য পঙ্গু হয়েছেন, আছেন এমন মানুষও। তাদের সম্পর্কে জানুন।
বিস্তারিত

বিচারহীনতার বাংলাদেশ

বিচার হচ্ছে না নিকট অতীতের কয়েকশ চাঞ্চল্যকর মামলার। যেসব মামলার সম্ভাব্য আসামী প্রভাবশালী রাজনীতিক অথবা ব্যবসায়ী অথবা ক্ষমতার কাছাকাছি থাকা কেউ।

বিস্তারিত

এখন কী অবস্থায় আছে?

ধর্মানুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে ডজনখানেক গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছিলো। সেসব গ্রাম, গ্রামের মানুষেরা এখন কেমন আছেন?
বিস্তারিত